South east bank ad

রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

 প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। আর গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো। এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১৩৩ কোটি ডলার। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসেবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলার আছে। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে গত সপ্তাহে ডলারের চা‌হিদা বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়ে যায়। যার কারণে রে‌মিট‌্যান্স প্রবাহও বেড়েছে, যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৪২ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: