তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে ৬৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার

দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার টন টিএসপি ও মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করবে সরকার। একই সঙ্গে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ করা হবে। এ সার আমদানি ও বাফার গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ৬১৭ কোটি ৩২ লাখ ২৪ হাজার ২৫২ টাকা।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তিউনিসিয়ার গ্রুপ চিমিক তিউনিসিয়ান ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৮৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৬০২ দশমিক ৫০ ডলার।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে ৩৮৩ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৩২০ টাকা। প্রতি টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৮১ দশমিক ৩৩ ডলার।

এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ ৪-এর লট ১-এর (ভোলা ১০ হাজার টন) অধীন একটি সাইটে গোডাউন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঢাকার হাতিরপুলের প্রতিষ্ঠান এম/এস এমবিএল-আরইএলের (জেভি) সঙ্গে এ কাজের জন্য চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৪৩২ টাকা।

বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের জিটি-২ মেরামত কাজ প্রায় ১১১ কোটি ১৮ লাখ টাকায় চীনের সেপকো ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড থেকে সংগ্রহ করবে।

এছাড়া বৈঠকে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ৯৪টি লটের মোট ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯১ হাজার ২০৭টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

অন্যদিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বিআইডব্লিউটিএর বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রকল্পটির মূল চুক্তিমূল্য ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৫ টাকা। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৫ টাকা।