ডেসকোর দর বেড়েছে ১৭ শতাংশ

বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) গত সপ্তাহ শেষে শেয়ারদর ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সায়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। এতে কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ডেসকোর কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী লোকসান হয়েছিল ১৯৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে লোকসান ছিল ৪ টাকা ৯২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৭৯ পয়সায়।
চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ডেসকো। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা নিট লোকসান হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ২২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি ডেসকোর পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৩ টাকা ৬১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৯২ পয়সায়।
কোম্পানিটির সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসল)।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডেসকোর অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৫৭ লাখ। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৭ লাখ। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৪। এর মধ্যে সরকারের হাতে রয়েছে ৬৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও বাকি ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।