South east bank ad

দার্শনিক জাঁ-জ্যাক রুশোর মৃত্যু

 প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মৃত্যুবার্ষিকী

দার্শনিক জাঁ-জ্যাক রুশোর মৃত্যু

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

‘আত্মা কলুষিত হতে শুরু করলেই মন আকারে সরু হতে থাকে’- বিখ্যাত এই উক্তিটি দার্শনিক জাঁ-জ্যাক রুশোর। ফরাসি এই দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানীকে বলা হয় আলোকিত যুগের অন্যতম প্রবক্তা। যে কয়জন দার্শনিকের চিন্তাধারা ফরাসি বিপ্লবকে প্রভাবিত করেছিল, রুশো ছিলেন তাদেরই

অন্যতম একজন। ১৭৭৮ সালের ২ জুলাই এ চিন্তানায়কের জীবনাবসান ঘটে।

১৭১২ সালের ২৮ জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন রুশো। তার রচিত উপন্যাসগুলো ছিল একদিকে অষ্টাদশ শতকের জনপ্রিয় বেস্ট সেলার এবং একই সঙ্গে সাহিত্যে রোমান্টিকতাবাদের অন্যতম উৎস। তাত্ত্বিক ও সুরকার হিসেবে পাশ্চাত্য সংগীতেও তার অবদান অসামান্য। রুশো তার লেখনীর মাধ্যমে ফরাসি মননে বিপ্লবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জাগ্রত করতে সক্ষম হন। তিনিই প্রথম উল্লেখ করেন, ‘মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন, কিন্তু সমাজ তাকে শৃঙ্খলিত করে।’

জন্মসূত্রে সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী হলেও রুশো ছিলেন ফরাসি জ্ঞানালোক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিনিধি এবং ইউরোপের প্রগতিবাদী ও গণতান্ত্রিক সমাজচেতনার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি আত্মজৈবনিক রচনাশৈলীতে আধুনিক ধারার সূত্রপাত করেন এবং তার লেখনীতে মৃন্ময়ী চেতনার বিকাশের প্রভাব হেগেল ও ফ্রয়েডসহ অনুবর্তী অনেক চিন্তাবিদের মাঝেই সুস্পষ্ট।

১৭৫৫ সালে রুশো রচনা করেন ‘মানবজাতির অসমতার উৎস’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ। লেখাটি রুশো তার জন্মস্থান জেনেভা প্রজাতন্ত্রকে উৎসর্গ করেন। পরে তিনি কালজয়ী ‘রাষ্ট্রদর্শন সামাজিক চুক্তি’ (১৭৬২) এবং শিক্ষাদর্শন ‘এমিল’ (১৭৬২) বই দুটি লেখার কারণে গির্জা ও রাজতন্ত্রের রোষানলে পড়েন। ১৭৬৬ সালের দিকে রুশো ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেন। ১৭৭০ সালে তিনি আবার প্যারিসে ফেরত আসেন এবং স্বরলিপি রচনায় আত্মনিবেশ করেন। তার স্বরলিপির প্রণালি ছিল স্বউদ্ভাবিত, ব্যতিক্রমী ধরনের।

BBS cable ad

মৃত্যুবার্ষিকী এর আরও খবর: