আবু জাফর শামসুদ্দীনের প্রয়াণ
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবু জাফর শামসুদ্দীনের প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রগতিশীল লেখক। উদার দৃষ্টিভঙ্গি, গভীর মানবিকতাবোধ ও সমাজপ্রগতির ভাবনা তার চরিত্রের বিশেষ দিক। ১৯১১ সালের ১২ মার্চ গাজীপুরের
কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামে আবু জাফর শামসুদ্দীনের জন্ম। তার প্রথম উপন্যাস ‘পরিত্যক্ত স্বামী’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান, পদ্মা মেঘনা যমুনা, সংকর সংকীর্তন ও দেয়াল। গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- জীবন, রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা, ল্যাংড়ী। শিল্পীর সাধনা ও পার্ল বাকের সেরা গল্প তার দুটি অনুবাদগ্রন্থ।
আবু জাফর শামসুদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয় ‘দৈনিক সোলতান’ পত্রিকায় সহসম্পাদক হিসেবে। পরে তিনি খুলনা, কলকাতা ও কটকে কিছুকাল সরকারি চাকরি করেন। এর পাশাপাশি তিনি আজাদ, ইত্তেফাক, পূর্বদেশ ও সংবাদ পত্রিকায় বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। এর আগে তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমিতে সহকারী অনুবাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন।
আবু জাফর প্রথম জীবনে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের (এমএন রায়) ‘ র্যাডিক্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির’ সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ (১৯৫৭) গঠিত হলে তার প্রাদেশিক সাংগঠনিক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ঐতিহাসিক কাগমারি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ।
সমাজ ও সাহিত্যক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৮ সালে আবু জাফর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৭৯ সালে সমকাল সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সালে একুশে পদক, ১৯৮৬ সালে শহীদ নূতনচন্দ্র সিংহ স্মৃতিপদক ও মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৮৮ সালে মৃত্যুর পর ফিলিপস পুরস্কার অর্জন করেন।