South east bank ad

সেপ্টেম্বরে রূপপুরে রিয়্যাক্টর বসবে

 প্রকাশ: ১২ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

সেপ্টেম্বরে রূপপুরে রিয়্যাক্টর বসবে

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কমিশন-রোসাটমের মেশিন প্রস্তুতকারী কারখানায় বাংলাদেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর এনপিপির রিয়্যাক্টরসহ অন্যান যত্রাংশ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে দুই ইউনিট বিশিষ্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এ বছরই রাশিয়া থেকে আসছে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলও।
রাশিয়ার ঋণ ও কারিগরি সহায়তায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দেশের প্রথম এ পারমাণবিক প্রকল্প। জনবল প্রশিক্ষণসহ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর এই অর্থের নব্বই ভাগ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। এ প্রকল্পে রাশিয়ার সর্বশেষ উদ্ভাবিত অত্যাধুনিক থ্রি জি(+) রিয়্যাক্ট ভিভিইআর ১২০০ স্থাপন করা হবে। দুই ইউনিটের প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। এই প্রকল্প থেকে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যথা সময়েই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও থেমে থাকেনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশি ও বিদেশি এক্সপার্টসহ কয়েক হাজার কর্মী এ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ইনার কন্টেইনমেন্টের ৪৪ দশমিক ১ মিটার পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম ই্উনিটের রিয়্যাক্টর ভেসেল স্থাপনের প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলেছে। এর আগে ডুম স্ট্রাকচারের কাজ শেষ করা হবে। আগামী জুন থেকে ডুম স্ট্রাকচারের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর পর এ বছর সেপ্টেম্বরেই প্রকল্পের মূল যত্রাংশ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে।

এদিকে রাশিয়ায় আরএনপিপির যন্ত্রাংশ তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভেসেল তৈরি হয়ে গেছে। চলতি বছরই এটি দেশে এসে পৌঁছাবে। চলতি মে মাসের মাসের শেষে দিকে এ রিয়্যাক্টর ভেসেল সমুদ্র পথে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। গত মাসে এটিকে রাশিয়ার জেএসসিএইএম টেকনোলজির ভল্গোদনস্ক শাখা (রোসাটমের যন্ত্র প্রস্তুতকারী শাখা-এটোমএনার্গোম্যাস) থেকে বিশেষ বার্থে করে পাঠানো হয়েছে ভলগা নদীতে। সেখান থেকে জাহাজে করে জলপথে নভোরোসিস্ক যাবে। এর পর নভোরোসিস্ক থেকে ১৪,০০০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। নভোরোসিস্ক বন্দর থেকে মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের মংলা সমুদ্র বন্দরের দিকে এটি যাত্রা করবে। মংলা বন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে পদ্মা নদী দিয়ে ঈশ্বরদীর নৌবন্দরে নিয়ে আসা হবে। এই একই প্রক্রিয়ায় প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টরটিও আনা হয় এবং গত বছর নভেম্বরে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।

BBS cable ad

ভিন্ন খবর এর আরও খবর: