ইসরায়েলি বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
গত শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মাতুল বিদা উপলক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হলে তাদের ওপর অভিযান চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। পরের দিন পবিত্র সবে-কদরের রাতেও তাদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়। এতে শত শত ফিলিস্তিনি আহত হন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার থেকে এপর্যন্ত নিহত ৩৬ জনের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সেই সঙ্গে এই হামলায় নিহতদের প্রতি শোক আর আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম স্তম্ভ ছিলো অসহায়-নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। যেখানেই মানুষের ওপর অন্যায়-জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একারণেই তিনি সারা বিশ্বে শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মহান নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ছিলেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষের উর্ধ্বে এক মহান নেতা।
আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সেই মহান নেতার আদর্শের উজ্জীবিত সৈনিক। তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করেই যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী পথ চলে। সে কারণেই দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে, মানবিক বিপর্যয় ঘটবে, মানুষ জুলুম-নির্যাতনের শিকার হবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে যুবলীগ। বিশ্বের কোথাও কোন ধরণের জাতিগত বিদ্বেষ-সন্ত্রাস-নিপীড়ন-আগ্রাসনে বিশ্বাস করে না যুবলীগ। যুবলীগ জাতিগত বিদ্বেষ-সন্ত্রাসের বিরোধী।
গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশ যে নির্মম অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। শেখ জারাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ এবং বেসামরিক জনগণকে দখলকৃত এলাকায় স্থানান্তরের মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনীর মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘনের চরম প্রকাশ। প্রায় সারা বিশ্বের মানুষের অনুভূতিকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের বাংলাদেশের ভাই হিসেবে সম্বোধন করেছেন। এ কারণেই ফিলিস্তিনিরা আমাদের ভাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।