১৭ থেকে ২৩ মে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার
ঈদের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় পুনরায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষের চলাচল ও সার্বিক কার্যক্রমে বিধিনিষেধ তথা ‘লকডাউন’র প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (১৬ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগামী ১৭ থেকে ২৩ মে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ বিধিনিষেধ চলাকালে লঞ্চ, ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে বাস চলবে।
দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ বিধিনিষেধ ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ সময়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে।
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ কেবল খাদ্য বিক্রি/সরবরাহ করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। সবশেষ তা ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এবারের ঈদে লঞ্চ-ট্রেন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরছেন ঝুঁকি নিয়ে। ফলে করোনা সংক্রমণেরও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।