South east bank ad

সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর কারণে অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে রফতানি

 প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   গার্মেন্টস/টেক্সটাইল

সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর কারণে অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে রফতানি

বিজিএমইএর প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, পরিচালক ফাহিমা আক্তার, পরিচালক এবিএম সামছুদ্দিন, রিও ডিজাইন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুক আহমেদ, ও’ডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ মোহিত, ডে অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারি এবং একেএইচ ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতির কারণে উদ্যোক্তারা রফতানি আয়ের অর্থ সময়মতো পাচ্ছেন না। ফলে শিল্প মালিকরা উৎপাদন ও রফতানি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো নতুন করে এলসি খুলতে ব্যর্থ হওয়ায় কাঁচামাল আমদানিতেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে অনেক পোশাক কারখানা শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। এতে শ্রমিক অসন্তোষ বেড়ে যাচ্ছে, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হবে।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, এ আর্থিক অচলাবস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। বৈদেশিক ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের প্রধান রফতানি খাতকে আরো বড় ঝুঁকির মুখে ফেলবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেক কারখানা রুগ্‌ণ শিল্পে পরিণত হবে এবং হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হারানোর শঙ্কা তৈরি হবে।

বিজিএমইএ নেতারা গভর্নরের কাছে অনুরোধ জানান, সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে রফতানি আয়ের প্রবাহ এবং এলসি খোলার প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৈঠকে উদ্যোক্তাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ সাময়িকভাবে পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। এতে রফতানিকারকরা জরুরি আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারবেন।’ তিনি আরো জানান, সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নীতি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গভর্নরের আশ্বাসে তারা আশাবাদী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে, পোশাক শিল্পে বিদ্যমান আর্থিক অনিশ্চয়তা কেটে যাবে এবং রফতানি কার্যক্রম আবারো স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসবে।

বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তাই এ খাতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে অর্থনীতির সার্বিক স্থিতিশীলতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

BBS cable ad

গার্মেন্টস/টেক্সটাইল এর আরও খবর: