ভারত থেকে এলো ৭ লাখ ডিম
বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিনটি চালানে ভারত থেকে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০টি ডিম আমদানি করেছে একটি প্রতিষ্ঠান।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে বেনাপোল বন্দরে এ ডিমের তৃতীয় চালানটি প্রবেশ করে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ডিমের তৃতীয় চালানটি খালাস নিতে দেখা যায়।
এদিকে এ ডিমের চালানটি আমদানি করেছে ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার। এছাড়া এ বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল বেনাপোল।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ডিম আমদানি করেছে এবং সেটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করেছে। সরেজমিনে ডিমের পরীক্ষণ করে এ চালানগুলো খালাস দেওয়া হয়।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে তিনটি চালানে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০টি ডিম আমদানি করেছে। এ ডিম পরীক্ষা করার জন্য বেনাপোলে কোনও যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটে থাকায় তার ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরেজমিনে গিয়ে ডিমগুলো দেখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন জানান, ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ৩ হাজার ৩১২ বক্সে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০টি ডিম আমদানি হয়েছে। ইনভয়েজ অনুযায়ী ভারত থেকে বাংলা টাকায় প্রতি পিস ডিম চার টাকা ৭৪ পয়সা করে পড়েছে। এবং বাংলাদেশ কাস্টমসকে প্রতি পিস ডিমের শুল্ক কর এক টাকা ৮৪ পয়সা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আরও ডিম আমদানি করা হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, তিনদিনে তিনটি ভারতীয় ট্রাকে ৩ হাজার ৩১২ বক্স ডিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যা প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ২৯ হাজার ৯০৭ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে এক টাকা ৮৪ পয়সা।