South east bank ad

ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৪১ হাজার ডিম

 প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৪১ হাজার ডিম

বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের রূপালি এন্টারপ্রাইজের নামে আমদানি করা ডিমগুলো রফতানি করেছে ভারতের মা সিদ্ধেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ।

রোববার বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ করে ডিমগুলো দ্রুত ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে। ডিম আমদানিতে এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন করা হচ্ছে।

এতে বাজারে ডিমের দাম কমবে মন্তব্য করে আমদানিকারকরা জানান, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাওয়া যাবে। ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল।

ডিমের পরীক্ষা সম্পর্কে বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি দেশে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা বেঁধে দেয়। এতেও দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পরে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সময় প্রতিটি ডিমের আমদানি খরচ পড়ে ৭ টাকার কিছু বেশি, যা দেশের বাজার দরের চেয়ে অনেকটাই কম ছিল। তবে যে পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি ছিলে, সেই পরিমাণ ডিম দেশে আসেনি।

এরপর চলতি বছরে ১৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদক থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরায় ডিমের নতুন দাম বেঁধে দেয় সরকার। সেই হিসেবে ডিম উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি পিস ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি ১১ টাকা এক পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় দেশে প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরুতে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

BBS cable ad