শিরোনাম

South east bank ad

ফল আমদানি বন্ধ রাখার হুমকি ব্যবসায়ীদের

 প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আমদানী/রপ্তানী

ফল আমদানি বন্ধ রাখার হুমকি ব্যবসায়ীদের

বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে পরদিন থেকে ফল আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সহসভাপতি ফারুক সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে প্রতি ট্রাক ফল যেখানে একদিনে বিক্রি করা সম্ভব ছিল, এখন তিন-চার দিনেও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার শিপিং ও পোর্টে ড্যামারেজ গুনতে হচ্ছে। সম্পূরক শুল্কের কারণে ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

ফারুক সিদ্দিকী জানান, দেশে চাহিদার ৩৫-৪০ শতাংশ ফল উৎপাদন হয়। বাকি ৬০-৬৫ শতাংশ তাজা ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সাধারণত ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করেন। বর্তমানে ব্যাংকের সুদহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও ডলারের মানও উচ্চ পর্যায়ে। এ অবস্থায় তাজা ফলের ওপর বর্ধিত শুল্ক আরোপ হঠকারী সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছু না।’

সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না করলে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের সব স্থল ও নৌবন্দর থেকে আমদানীকৃত তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানান সংগঠনের সহসভাপতি ফারুক সিদ্দিকী।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেক ফল আমদানি করা হচ্ছে, এর মধ্যে বিক্রি হচ্ছে ২০ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘ফল তো বিলাসপণ্য না, এটা পথ্য। আমি ব্যবসা করতে পারতেছি না, আমি টাকা কই পাব? চাহিদা না থাকলে এনে কী করব? সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করলে আপাতত ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারব।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

BBS cable ad

আমদানী/রপ্তানী এর আরও খবর: