যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম আমদানি করবে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টার মধ্যে দেশটি থেকে বছরে সাত লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে উভয় দেশ। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর এবং মার্কিন বাণিজ্য সংগঠন ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ কে সওয়ার নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছর প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে সাত লাখ টন উচ্চমানের গম আমদানির বিষয়ে গতকাল সমঝোতা হয়েছে। দেশের সার্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সমঝোতা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আস্থা এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সহযোগিতার আরো বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবেন।’
খাদ্য সচিব মাসুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জেকবসন এবং বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যে ১ আগস্ট থেকে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, এখন নতুন করে আরো ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এটি ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে।
শুল্কের খড়্গ থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশ চাইছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা। এজন্য দেশটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ভারত, রাশিয়া, বেলারুশসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গম আমদানি করা হয়।