এনসিসি ব্যাংকের সংঘবিধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন

এনসিসি ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ব্যাংকটির পরিচালকদের সংখ্যা ও যোগ্যতা নির্ধারণে সংঘবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল। বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরও সম্মতি নিয়েছে ব্যাংকটি। তাদের এ উদ্যোগে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুসারে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইজিএমে সংঘবিধির নির্দিষ্ট কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদ। এর মধ্যে রয়েছে অনুচ্ছেদ ৯১: পরিচালকদের সংখ্যা, অনুচ্ছেদ ৯৪(১) ও ৯৪ (২): পরিচালকদের যোগ্যতা এবং অনুচ্ছেদ ১০৮(১): চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কারণে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ নির্ধারণের বিষয়টি স্থগিত করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এনসিসি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯৬ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এনসিসি ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮২ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এনসিসি ব্যাংক। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনসিসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৪০ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৩১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১১ কোটি ৪ লাখ ২৩ হাজার ৯৬। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৩ দশমিক শূন্য ৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ১৬ ও বাকি ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।