বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নারায়ণ খাড়কা বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক বন্ধনের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, বাংলাদেশ ও নেপাল উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে একে অপরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
এছাড়া তিনি উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ - নেপাল। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীতে দিবসটি উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ ও নেপাল সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে দুই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন।
কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নেপাল কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের যৌথ আয়োজনে স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. নারায়ণ খাড়কা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিপুল সংখ্যক রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক কোরের সদস্যরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাবেক রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
নেপাল কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের সভাপতি হেমন্ত খারেল, নেপালের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশে নেপালের সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব মধু রমন আচার্য এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে একটি নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে গত পাঁচ দশকের নেপাল-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বিভিন্ন পর্যায়ের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ ও নেপাল ঐতিহাসিক, ভাষাগত, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনগণ যে নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন দিয়েছিল তা বাংলাদেশের জনগণ গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। স্বাধীনতার পর যে সব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের মধ্য নেপাল ছিল অন্যতম। দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে।