ফারজানা চৌধুরী এ প্রজন্মের একজন মেধাবী চৌকস ও আত্মপ্রত্যয়ী নির্বাহী
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বীমা প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারজানা চৌধুরী মেধা, প্রজ্ঞা, মননশীলতা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে যিনি নিজের প্রাতিষ্ঠানিক বলয়কে সমৃদ্ধ করে দৃপ্তপদভারে এগিয়ে চলছেন ।
ফারজানা চৌধুরী এ প্রজন্মের একজন মেধাবী কৌকস ও আত্মপ্রত্যয়ী নির্বাহী। তার মধ্যে রয়েছে আধুনিক ব্যবস্থাপনা। তার পিতা প্রবীণ অভিজ্ঞ বীমা ব্যক্তিত্ব নাসির এ চৌধুরীর পাশে তারুণ্যে উজ্জ্বীবিত মেধাবী ফারজানা চৌধুরীর আন্তরিক পদচারণায় গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা অর্জনে সহায়ক হবে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়।
তারুণ্যে উদ্দীপ্ত ফারজানা চৌধুরী সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহ খান বাহাদুর গৌস উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ছিলেন সিলেট জেলার সদর থানার অন্তর্গত রেঙ্গা পরগণার দাউদপুর গ্রামের খ্যাতনামা জমিদার। একই সাথে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবেও ছিলেন সমধিক পরিচিত। তিনি ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগ পর্যন্ত আসাম লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য তার পূর্বপুরুষ হযরত শাহ দাউদ কুরেশী হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর অনুগামী ৩৬০ জন আউলিয়ার অন্যতম। ফারজানা চৌধুরীর পিতা দেশবরেণ্য বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব নাসির এ চৌধুরী এবং মাতা বেগম খুরশীদা চৌধুরী। নাসির এ চৌধুরী এ দেশের বীমা শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। ছোটবেলা থেকেই ফারজানা চৌধুরী অত্যন্ত ধীশক্তি সম্পন্ন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম কম ডিগ্রি লাভ করেন এবং নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকে। ফারজানা চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ান সরকারের স্কলারশীপ নিয়ে মনাস ইউনিভার্সিটি মেলবোর্ণ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এসএমই ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে তিনি একজন দক্ষ ব্যাংকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এই ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন’ তাকে ‘বেগম রোকেয়া শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। বীমা এবং মাইক্রো ফাইন্যান্স খাতেও ফারজানা বহুমুখী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। একই সাথে তিনি নাসকম (প্রাঃ) লিমিটেডের একজন পরিচালক।
কর্মপ্রিয় বিচক্ষণ ফারজানা চৌধুরী মনে করেন পেশার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য হচ্ছে দক্ষতা ও প্রজ্ঞার। একজন মেধাবী সৃজনশীল ও প্রজ্ঞাবান নারী তার পেশাগত দক্ষতা ও গুণাবলী দিয়ে সহকর্মী পুরুষকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। সুতরাং এটা বলা ঠিক নয় যে, মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে থাকে। তার মতে, যথাযথভাবে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হলে দেশের অর্থনীতির চেহারাই পাল্টে যাবে। ব্র্যাক ব্যাংকে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি তাঁর উদ্যম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে এ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হন।
ফারজানা চৌধুরীর পিতা খ্যাতিমান বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব নাসির এ চৌধুরীর মতোই আত্মপ্রত্যয়ী এবং পেশার ক্ষেত্রে আপসহীন। তার মতে, পরিশ্রম ও আন্তরিকতা ছাড়া প্রতিষ্ঠান কিংবা নিজের উন্নয়ন করা যায় না। তিনি মনে করেন, তরুণরা যতো বেশি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উন্নয়ন উদ্যোগের সাথে জড়িত হবে দেশের শিল্প খাতের ততোই প্রসার ঘটবে। ফারজানা চৌধুরীর মধ্যে অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী বিদ্যমান। আর হবেই বা না কেন? এটি তিনি পেয়েছেন তার পিতামহ তৎকালীন আসামের রাজনৈতিক নেতা খানবাহাদুর গৌস উদ্দীন আহমদ চৌধুরী এবং পিতা বাংলাদেশ বীমা এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক জনাব নাসির এ চৌধুরীর রক্তধারা থেকে। জ্ঞানী পিতার মতোই তিনি আরও অনেক গুণে গুনান্বিত। তার মধ্যে ধৈর্য্য ও সহনশীলতা অন্যতম। একই সাথে মানুষের প্রতি তার রয়েছে অন্যরকম মমত্ববোধ। সুযোগ পেলেই মানুষের উপকার করতে ভালবাসেন দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী এবং দূরদর্শী ফারজানা চৌধুরী ফরচুন মোস্ট পাওয়ার ফুল উইমেন্ট কনফারেন্সে অংশ নেন এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ফরচুন/ইউনাইটেড স্টেট-এর স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল উইমেন লিডারস মনিটারিং পার্টনারশীপ প্রোগ্রামএ মনোনীত হয়ে আইএনজি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ভিত্তিক হার্ডফোর্ডে কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অতিথি বক্তা হিসেবে সাহসী ফারজানা চৌধুরী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য সেমিনার ও কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। তিনি তাঁর কর্মজীবনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নেন। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গতিশীলতাসহ রয়েছে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির উপর জোর দেন এবং বলেন আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সুনাম এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার ব্যাপারে তিনি নির্মোহ ভূমিকা পালন করবেন। তিনি মনে করেন, ব্যাংক এবং বীমা শিল্প একে অপরের পরিপূরক। ব্যাংক এবং বীমার উন্নয়ন ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ফারজানা চৌধুরীর মতে, ইচ্ছাশক্তি, সততা ও শ্রম এ তিনের সমন্বয় ঘটলে সাফল্য আসবেই।