বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত
গতকাল শনিবার (২১ মার্চ) বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এ বিষয়ের ওপর জোর দেন দুইনেতা।
এসময় দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন এই দুইনেতা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। সফরের শেষদিনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
এসময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে নানা ইস্যুতে একই মত পোষণ করে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও সেবা খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। দু’দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এসব খাতের উন্নয়নে আরও বেশি সুযোগ তৈরি হবে। তিনি দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৩০ হাজার কর্মী বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও সেবাখাতে কাজ করে। এর মাধ্যমে তারা দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবদান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল ও প্রকৌশল খাতে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশ আরও বেশি শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রস্তুত আছে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীংলঙ্কার সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগাবার যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী জি আই পেরিস এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজাপাকসে বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে পরিদর্শন বইতে সই করেন।