কুমিল্লায় ভাতিজি হত্যায় চাচার মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
পারিবারিক কলহের জেরে কানের দুল নিতে ২০০৫ সালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার তেতাভূমি গ্রামে কুপি বাতি রাখার স্ট্যান্ড দিয়ে ভাতিজি সোনিয়াকে (১০) হত্যার দায়ে আসামি চাচা আবদুল কাদেরকে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার উত্তর তেতাভূমি গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে।
বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৮ নভেম্বর দুপুরে কানের দুলের জন্য সোনিয়া আক্তারের (১০) মাথায় কুপি স্ট্যান্ড দিয়ে আঘাত করেন তার চাচা। এতে সোনিয়া মারা যায়। পরে তার মরদেহ ঘরের পাশে গুম করার উদ্দেশ্যে একটি চটের বস্তায় ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন দেখে ফেললে তারা কাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর সোনিয়ার বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০০৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নূরুন নাহার বেগম শিউলির আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন আদালত।
পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল করেন। এর পরে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রায় দেন আদালত।