শিরোনাম

South east bank ad

ক্রেতা সাধারণকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে

 প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মিডিয়া কর্নার

মির্জা ইয়াহিয়া : করোনাভাইরাস আমাদের জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগে রমজান মাসে ইফতারের জনপ্রিয় আইটেম বেগুনির জন্য বেগুনের উচ্চমূল্য খুব আলোচনায় থাকতো। গতবছর ঘরে জিলাপী বানানোর চেষ্টা নিয়ে ফেসবুক অনেক আলোচনা দেখেছি। আতঙ্কের কারণে মানুষ বাইরের জিলাপী কেনা থেকে বিরত থেকেছে। এই বছরও জিলাপী আলোচনায়। তবে বিষয়টা অন্যরকম। জিলাপীর নাম পরিবর্তন করে ‘জেলেবি’ বলার চেষ্টা হচ্ছে। আর নাম চেঞ্জ করে যারা বিক্রির চেষ্টা করছে, তারা দামও হাঁকাচ্ছে বিশাল। অনলাইন প্রচারণায় একটি প্রতিষ্ঠান দাম জানিয়েছে, এক কেজি জিলাপী ২২,০০ টাকা।
বর্তমানে আরো একটি জিনিস আলোচনায়। সেটা হলো কেজি দরে তরমুজ বিক্রি। এই কারণে দাম আগের তুলনায় দুই-তিনগুণ বেশি হয়ে গেছে। এটা বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট অভিযানও চালাচ্ছে। অবাক করা বিষয় হলো শুধু তরমুজ নয়, ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও কাঁঠালও বাটাখারায় মেপে বিক্রি করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কেজি হিসেবে বেল বিক্রির একটি খবরও পড়েছি। খুচরা ব্যবসায়ীদের এই লোভের কারণে সাধারণ মানুষ রমজানে দেশি ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দোকানদারদের আরো একটি প্রতারণার খবর দেখলাম। দেশে আম এখনো পাকেনি। কিন্তু রোজার মাস ধরার জন্য কাঁচা আম কৌশলে পাকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলো খেতে কোনো স্বাদ লাগে না। আবার ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে পাকানোর কারণে শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। এই আমগুলোর কাটলে ভেতরে আঠি কিন্তু কাঁচাই পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে কথিত পাকা আম কেনা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
তবে আসল বিষয় হলো, ক্রেতা সাধারণকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)

BBS cable ad

মিডিয়া কর্নার এর আরও খবর: