South east bank ad

পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ বাস্তবে আরো বেশি: ড. ইফতেখারুজ্জামান

 প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ বাস্তবে আরো বেশি: ড. ইফতেখারুজ্জামান

আওয়ামী লীগ আমলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে অর্থ পাচার হয়েছে অভিযোগ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বলেছেন, বাস্তবে তার পরিমাণ আরো বেশি। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।

শনিবার দুপুরে ‘ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই বলে মন্তব্য করেন টিআইবি পরিচালক।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে সেটাও বড় অর্জন হবে।

বাংলাদেশে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছে, তারা পাঁচতারকা হোটেলে বসে ব্যাংকখাতের নীতি পলিসি তৈরি করতো; আর বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেসব পলিসি ঘোষণা করত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

BBS cable ad