South east bank ad

বৈদেশিক ঋণ এসেছে ১১৪ কোটি ডলার, পরিশোধ হয়েছে ১২৮ কোটি

 প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

বৈদেশিক ঋণ এসেছে ১১৪ কোটি ডলার, পরিশোধ হয়েছে ১২৮ কোটি

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে ১১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এ সময় সরকারকে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ১২৮ কোটি ডলার। যেখানে গত অর্থবছরে ১১২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। গতকাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে চলমান প্রকল্পে যে পরিমাণ ঋণ এসেছে তার চেয়ে এখন বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ঋণ করেই এখন ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে রিজার্ভ ভেঙে টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণ পরিশোধের অংক বেড়েছে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যার মধ্যে শুধু আসল পরিশোধই বেড়েছে ১৩ কোটি ডলার। বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৪০৯ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭৪ কোটি ডলার বেশি। এর আগের কোনো অর্থবছরে সরকারকে এত ঋণ পরিশোধ করতে হয়নি।

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩৫ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধ করেছিল ২৬৭ কোটি ডলার। মূলত সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইআরডি বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৯১ কোটি ৬ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় প্রতিশ্রুতি ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক ঋণের জন্য উচ্চ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) বেড়েছে। বর্তমানে এসওএফআর ৫ শতাংশের বেশি, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির আগে ১ শতাংশের এর কম ছিল। আবার বাংলাদেশের বাজারভিত্তিক ঋণও ক্রমাগত বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশকে এখন সুদ বাবদ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: