মেয়র আব্বাসের নামে ২টি মানহানির মামলা দায়ের
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালতে মামলাগুলো হয়েছে।
মামলা দুটির বাদী শরিয়ত আলী ও সাইদুর রহমান। আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বাদীপক্ষের হয়ে আদালতে মামলা দুটি দাখিল করেন।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, মানহানির অভিযোগ এনে আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন সিএমএম আমলি আদালতের বিচারক মো. মাসুদুজ্জামান। আদালত মামলা তদন্তে কাটাখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২২ নভেম্বর রাতে মেয়র আব্বাস আলীর ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে মেয়রের বিরুদ্ধে আরএমপির তিন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এর মধ্যে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানী ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেল থেকে আব্বাস আলীকে আটক করে র্যাব। ২ ডিসেম্বর রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে আদালতে তোলে। এরপর থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মেয়র আব্বাস।
ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত ২৪ নভেম্বর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে মেয়র আব্বাসকে অপসারণ করে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর দুদিন পর ২৬ নভেম্বর তাকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেয় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।
আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে গত ২৫ নভেম্বর রাতে পৌরসভার ১২ কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় ৮ ডিসেম্বর মেয়র পদও হারান আব্বাস আলী।