রাজশাহীতে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সুধী সমাবেশে আইজিপি
রাজশাহী মহানগরীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সুধী সমাবেশ।
২৩ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১০ টায় শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব মো: আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ কমিশনার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। স্বপ্ন দেখি ২০৪১ সালের মধ্য উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হব।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের ভূমিকায় রয়েছে বলেই দেশ আজ বিনিয়োগ বান্ধব।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কারণে আমরা সকলের সহায়তায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
এছাড়াও তিনি মাদককের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্ববান জানান। আগামীতে রাজশাহীতে মাদকমুক্ত দেখার প্রত্যশা রেখে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো শান্তি শৃঙ্খলা। সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা থাকেল উন্নত হবে দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা সারথী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ গণতন্ত্রের ধারাকে রক্ষা করেছে। মহানগরীর প্রতিটা থানায় জনগণ যাতে পুলিশি সেবা পায় সেই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে, সোনার মানুষ গড়তে হবে। কিন্তু মাদক ও সন্ত্রাসবাদের কারণে সেটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে আরএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। এ বিষয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং-এর মাধ্যমেও জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করছে আরএমপি। যার ফলশ্রুততে রাজশাহী মহানগরীতে মাদক অনেকাংশ কমে গেছে।
এছাড়াও কিশোর অপরাধ দমন লক্ষ্যে কিশোর গ্যাং ডাটাবেজ তৈরি করার ফলে নগরীতে অপরাধ সংঘটনের হার অনেকাংশে কমেছে বলেও জানান। তাছাড়া ইউএস অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে অপরাধ সনাক্তকরণ সহজ হবে এবং কম সময়ে অধিক মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
সুধী সমাবেশ শেষে আইজিপি মহোদয় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহী পরিদর্শন করেন।
উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. মো: আব্দুল খালেক, আহ্ববায়ক, কমিউনিটি পুলিশিং, মহানগর শাখা রাজশাহী, জনাব জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি কমিশনার, রাজশাহী বিভাগ, জনাব মো: আব্দুল বাতেন, বিপিএম, পিপিএম, ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজশাহী, জনাব আব্দুল জলিল, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী, জনাব লে. কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার, অধিনায়ক, র্যাব-৫, রাজশাহী, জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, রাজশাহী, অধ্যাপিকা জিনাতুন নেছা তালুকদার, কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহানগর কমান্ড, রাজশাহী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, রাজশাহী জেলা ও সহ-সভাপতি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ, জনাব অনিল কুমার সরকার, সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ, জনাব মো: ডাবলু সরকার, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ, জনাব মো: আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ,-সহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।