মৌলভীবাজারে চলছে ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’
তানভীর আঞ্জুম আরিফ (মৌলভীবাজার) :
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সাত দিনের লকডাউন কার্যকর হয়েছে গত সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে। গতকাল প্রথম দিন এবং আজ দ্বিতীয় দিনেও মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকাতে তা মানতে দেখা যায়নি। অনেকটা ঢিলেঢালা লকটাউন চলছে।
আজ সরেজমিনে শহরের কুসুমবাগ,বেরীর পার, চৌমোহনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বাস না চললেও স্বাভাবিকভাবেই চলছে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষেও তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। শহরের বিপনীবিতান আংশিক বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে থাকা দোকানপাট প্রায় সবই খোলা। অনেকেই আবার বিকল্প পন্থায় অর্থাৎ দোকানের সাটার বন্ধ রেখে ভেতরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেখা গেছে। খোলা রয়েছে এলাকা ভিত্তিক চায়ের স্টলও।
তবে করোনা অজুহাতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেড়েছে গণপরিবহণের দ্বিগুণ ভাড়া। লাভজনক হয়েছে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের জন্য। অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে যানবাহন চললেও ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
এই প্রতিবেদকের কথা হয় সদর উপজেলার কামালপুরের এনার মিয়ার সাথে তিনি জানান, তিনি ব্যাংকের কাজে শহরে এসেছেন। সিএনজিতে করে এসেছেন অতিরিক্ত যাত্রী সেই সাথে দুইগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে।
অন্যান্য দিনের মতোই কারণে-অকারণে মানুষের জটলা দেখা গেছে সর্বত্রই। স্বাস্থ্যবিধি মানতেও দেখা গেছে উদাসীনতা। অনেককে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি কোথাও। তবে দুপুর ২টার পর জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু হলে কিছুটা আয়ত্তে আসে মানুষের জটলা।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজারে করোনা সংক্রমণের হার রোবরার রাতে আসা সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে। সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, রোববার রাতে সর্বশেষ তথ্য এসেছে সে হিসেবে মৌলভীবাজারে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৬২ টি নমুনা পরীক্ষায় এই ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সেই হিসেবে শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, আমি নিজেও কয়েকবার বের হয়েছি এবং দুপুর থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট বের হয়েছে। কাল থেকে অভিযান আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।