South east bank ad

পাবনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত, স্বাস্ব্যবিধিতে চরম অনীহা

 প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

পাবনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত, স্বাস্ব্যবিধিতে চরম অনীহা

রনি ইমরান (পাবনা) : পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড১৯শে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন যা রোগী শনাক্তের হিসেবেএকদিনে সর্বোচ্চ। উদ্বেগ জনক হয়ে উঠেছে পাবনার করোনা পরিস্থিতি বলে মনে করছেন, জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। আগামী কাল থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার খবরে সোমবার মানুষের সমাগমে শহরে পা ফেলা জায়গা নেই ছলি না, শহরের মার্কেট রাস্তা দোকানে উপচে পড়া ভীর আর শপিং ব্যাগ হাতে ধুমছে কেনাকাটা দেখে বোঝার উপায় নেই যে করোনাকাল চলছে।মানুষের এই অসচেতনতাই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে ব্যাপকহারে। তখন একসাথে অনেক মানুষকে জরুরী সেবা দেওয়ার সক্ষমতা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নেই বলে জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃমো আব্দুল মমিন।

পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, কোভিড১৯ রোগীদের জন্য কোভিড ইউনিটে ৩০ টি স্পেশাল শয্যা আছে, হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য সিলিন্ডার রয়েছে ১৩০ টি ও সাধারণ সিলিন্ডার রয়েছে ২১ টি যেভাবে কোভিডে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে রোগীর চিকিৎসা কাজে তা অপ্রতুল।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে পাবনায়।প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে শুধু বাড়ছে না সে অনুযায়ী সচেতনতা। স্বাস্ব্যবিধিগুলো মানার অন্তরায়ে রয়েছে চরম অসচেতনতা মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।

গতকাল সোমবার করোনাকালে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মূল স্বাস্ব্যবিধিগুলোও মানতে নারাজ অনেকে। পাবনা শহরের ব্যস্ততম লোকালয় থেকে শুরু করে হাসপাতালে আক্রান্ত কোভিড এলাকাতেও অনেককে ঘুড়তে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়া।

পাবনা শহরের অলি গলি রাস্তা দোকানে মাস্কহীন অনেককে আড্ডা দিতে দেখা যায়।তারা স্বাস্ব্যবিধি সর্ম্পকেও অসচেতন। শ্রমিক,দিনম‚জুর,চালক,দোকানদার সহ সকল পেশার মানুষ বাহিরে বের হওয়া নিয়ে জীবিকার কথা বলে রাস্তায় আসলেও তাদের মুখে মাস্ক থাকছেনা তারা মানছেনা স্বাস্ব্যবিধিও তাহলে তাদের জীবিকা আর স্বাস্ব্যবিধি না মানার সর্ম্পকে কি! এ বিষয়ে বলেছেন,
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কমরেড জাকির হোসেন তিনি বলেন অসচতেন মানুষের অযুহাতের শেষ নেই, এ করোনা কালীন সময়ে মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।সে যে ভাবেই সংসারের জন্য জীবিকা নির্বাহ করুক না কেনো।সকলের স্বাস্ব্যবিধিগুলা মেনে চলতে হবে এই কঠিন সময়ে। যে সকল উঠতি বয়সীরা বাহিরে অযথা ঘুড়াঘুরি করে তাদের বিরাট একটি অংশ চরম অসচেতন বলে মনে করেন পাবনা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে সাবেক উপ পরিচালক রাম দুলাল ভৌমিক তিনি বলেন এরা এই মহামারী সময়ে বাহিরে অসচেতন অবস্থায় ঘুরে বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রান্ত করছে। নানা অযুহাতে দেখিয়ে স্বাস্ব্যবিধি না মানায় উদ্বিগ্ন সকলেই।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: