South east bank ad

পাবনায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে রসালো ফল ফলাদি

 প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

পাবনায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে যাচ্ছে রসালো ফল ফলাদি

রনি ইমরান (পাবনা):

পাবনার মৌসুমি ফলের বাজারে ক্রেতাদের হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। বৈশাখমাসের খরতাপে মত উত্তাপ ছড়াচ্ছে মৌসুমি রসালো ফলের বাজারে।

দেশী বিভিন্ন ফলের দাম নাগালের বাইরে বলছেন ক্রেতারা। রসালো আনারস আর সবুজ শীতল রসালো তরমুজ খেতে হলে ক্রেতাদের কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশী। তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আনারসও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশী দামে।

ক্রেতা মোঃ হাবিবুল্লাহ পাবনা শহরের হামিদ রোডের ফুটপাত থেকে ইফতারির জন্য ফল কিনতে এসে পড়েছেন বিপাকে। তিনি বলেন, রমজান মাসে তরমুজের দাম শুনে আমি হতাশ। রসালো ফল ফলাদির দাম যদি এতো বেশী হয় ইফতার করবো কি করে!

শহরের এ আর প্লাসার সামনে ফুটপাতে ফল
বিক্রেতা সবুজ ক্রেতার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন,আমাদের দিকটাও একটু বিবেচনা করবেন। আমরা লকডাউনে ফলের ভাড়া দোকান ছেড়ে ফুটপাতে নেমেছি। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের কাছে থেকে ফল কিনে আমাদের বিক্রি করতে হবে। এবার পরিবহন খরচ বেশী এছাড়া সিন্ডিকেট ও মধ্যস্তভোগীরা বেশি লাভবান হচ্ছে আমরা তো ফুটপাতে ছোটো ব্যবসায়ী।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যদি এমন উদ্দোগ নেওয়া হতো যে, এই রমজান মাসে চাষিরা যদি সরাসরি ভোক্তাদের কাছে তরমুজ বিক্রি করতে পারে তাহলে দাম অনেক কম হবে বলছিলেন ক্রেতা হাবিবুল্লাহ।

দাম চাড়া হওয়ায় পাবনার মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তরা ইফতারির জন্য আনারস, তরমুজ, বাঙ্গি কিনতে হিমসিম খাচ্ছে।

পাবনার ফল ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে সব ধরনের ফলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে দিয়েছে এমনি অভিযোগ ক্রেতাদের তবে মহাজনরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হচ্ছে। দেশের বড় মোকাম বন্দরেই অস্বাভাবিক হারে ফল বেচা-কেনা হচ্ছে। করোনা কালে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পযন্ত এ অবস্থা চলবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

এদিকে দেশী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, নোনা ফলসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলমূলের বাজার ব্যপক চড়া মূলে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে উন্নত মানের খেজুরের দাম স্বাভাবিক থাকলেও খোলা খেজুরের মূল্য বেড়েছে। বাজারে অস্বাভাবিক হারে ফল মূলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতাদের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে দশ দিন আগে যে আঙুর বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি সেই আঙুর এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। এদিকে তরমুজ ২০ টাকা কেজি হলেও হঠাৎ করে সেই

মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ভোক্তারা দাবী করেন, বর্তমান বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

তবে, ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, কোন কৃত্রিম সংকট নয়, আমদানি কম থাকায় বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে কেবল বাজারে ফলের মূল্য কমবে বলে জানান তিনি।

BBS cable ad

সারাদেশ এর আরও খবর: