আনোয়ারায় হু হু করে বাড়ছে করোনা
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয় (আনোয়ারা,চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বানের পানির মতো হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দিনের পর দিন বাড়ছে করোনা রুগীর সংখ্যা তবুও স্বাস্থ্যবিধির বলাই নেই মানুষদের মাঝে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট,রেস্তোরাঁ,শপিং মল,যানবাহন দেখলে মনে হয় করোনা এখন তাদের কাছে ডেমক্যায়ার। আনোয়ারা উপজেলায় এই মহামারীর ছোবল থেকে পুলিশ সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষসহ রক্ষা পাইনি কেউ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে বাহিরে কর্মরত চাকরিজীবিদের মাঝে শনাক্তের পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এবং উপজেলার শিল্পজোন এলাকা কাফকো, বন্দর, বৈরাগ, চাতরী, বরুমছড়া এসব জায়গায় করোনার প্রক্ষোপটা বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ১৫ এপ্রিল থেকে ২রা মে পর্যন্ত এই ১বছর ১৭দিনে আনোয়ারায় করোনা রোগী সনাক্ত ৪৮২জনে দাঁড়িয়েছে ।
তারমধ্যে শুধু মাত্র গত এপ্রিলে ৫০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬০ জনের দেহে করোনার বিষ শনাক্ত হয়ে গড়েছে সর্বোচ্চ করোনা রুগী শনাক্তের রেকর্ড।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য মতে , সর্বশেষ গত ২রা মে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তার মধ্যে নতুন শনাক্ত হয় ৮ জন । এই পর্যন্ত সর্বমোট ৩৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত দাড়িয়েছে ৪৮২ জনে , গত ২ তারিখের রিপোর্ট মৃত্যু-০ , এই পর্যন্ত আনোয়ারা উপজেলায় কোভিড-১৯ এ সর্বমোট মৃত্যু হয় ৪জনের।
অপর দিকে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে আনোয়ারাবাসী মধ্যে ছিলো বেশ উৎসব মুখর। আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে
প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে-১১৯৫৯ জন,
দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে- ৮৪২৭ জন.
আজ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত,
প্রথম ডোজ টিকা স্থগিত রয়েছে ।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৫৫ জন।
করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন , পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিলো তাদের মধ্যে ১৬০ জন পজেটিভ এসেছে। শতকরা হিসেবে তা প্রায় ৩১ শতাংশ । এই পর্যন্ত ৩৩৭১জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে । যার মধ্যে ৪৮২ জনের পজেটিভ এসেছে । যেহেতু আনোয়ারায় সংক্রমণের সংখ্যা কম বেশি বেড়ে চলেছে সেহেতু করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এই বছর যেহেতু সংক্রামনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে । বিশেষ করে সকলকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখে চলাফেরা করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ও বাইরে থেকে এসে সাবান , স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে । সচেতনতায় এক মাত্র অবলম্বন।