ট্রান্সপোর্ট কর্মচারীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা

মোঃ জামাল হোসেন, (যশোর):
যশোর বেনাপোলে আল-আমিন ট্রান্সপোর্টের কর্মচারী তারেক আজিজ রিংকুকে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রোববার ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে।
তারেক আজিজ রিংকুর শ্বশুর বেনাপোল পোর্ট থানার ছোটআঁচড়া গ্রামের সৈয়েদুল ইসলাম মামলাটি করেছেন।
যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে সেটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, ছোটআঁচড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওসমান গনি, দাউদ মোল্যার ছেলে সাগর হোসেন ও কাগজপুকুর গ্রামের বাবু হোসেনের ছেলে তমিজ উদ্দীন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, তারেক আজিজ বেনাপোলের আল-আমিন ট্রান্সপোর্টে চাকরি করেন। অপরদিকে আসামি ওসমান গনি একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারী।
পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ওসমান গনি বিভিন্ন সময় তারেক আজিজের কাছ থেকে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধার নেন। পরে ধারের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ওসমান গনি গত (১১ জানুয়ারি) তারেক আজিজের নামে একটি ব্যাংক চেক প্রদান করেন। পরদিন বিকেলে চেকটি নগদায়নের জন্য তিনি ব্যাংকে যাচ্ছিলেন।
পথে আসামিরা তার গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নেন। এরপর তারা গাড়ির ভেতর তারেক আজিজকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
পরে তারা তারেকের কাছে থাকা চেকটি ছিনিয়ে নেন। এছাড়া অচেতন তারেক আজিজকে তারা মারধর ও বিড়ির আগুনের ছ্যাঁকা দেন।
মারা গেছে ভেবে আসামিরা তাকে বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যান।
পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেনাপোল ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসায় তারেক আজিজ কিছুটা সুস্থ হন।