মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির পর কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর):
নাটোরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার দুই ঘন্টা পর সবুজ আহমেদ (২১) নামে কলেজ পড়ুয়া মাদকাসক্ত যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের দাবী নাটোর রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তির পর চিকিৎসার নামে নির্যাতনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে রিহ্যাব সেন্টার কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে। অতিরিক্ত ও বিষাক্ত মদ পানের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নাটোর শহরের বলারীপাড়া এলাকার কলেজ পড়ুয়া যুবক সবুজ আহমেদকে মাদকাসক্ত অবস্থায় শহরের হরিশপুর এলাকায় নাটোর রিহ্যাব সেন্টার নামে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির ঘন্টা খানেক পরেই তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের সহোদর দুই ভাই সজীব ও শাওন জানান, ভর্তির করার দুই ঘণ্টা ঘন্টা পর সবুজের মৃত্যু রহস্যজনক। সে মাদকাসক্ত হলেও খুব খারাপ অবস্থায় ছিল না। রিহ্যাব সেন্টারে ভুল চিকিৎসা হয়েছে। তাকে মারধরও করেছে তারা।
নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. সোহরাব আলী সম্রাট সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবক সবুজকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের ইনচার্জ জাঙ্গাঙ্গীর আলম জানান, গত ৬ মাস আগে সবুজের বড় ভাই সজিব এই নাটোর রিহ্যাব সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
একটি গোষ্ঠী এই রিহ্যাব সেন্টারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। সবুজের সেন্টারে আসা শুরু করে সব কিছু সিসিটিভি ফুটেজে তোলা আছে। তাকে নির্যাতন বা অপচিকিৎসা দেয়া হয়নি । সেটা দেখলেই পরিস্কার বোঝা যাবে, সবুজ কি ভাবে মারা গেছে।
নাটোর সদর থানার অফিসার (ওসি) মনছুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত বা বিষাক্ত মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হতে পারে।
পরিবার দাবি করছে, রিহ্যাব সেন্টারে ভুল চিকিৎসা অথবা নির্যাতনের কারণেও মৃত্যু হতে পারে। তাই দুই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে অধিকতর তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে সবুজের পরিবার এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।