চুরি করা মোবাইলের আইএমইআই পাল্টে ফেলতেন তারা
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রামে মোবাইল চুরি করে আইএমইআই পাল্টে ফেলে পুনরায় বিক্রি করতো একটি চক্র। ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বাগদাদ হোটেলের গলিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. সাজ্জাদ (২০), হাবিবুল্লাহ মিসবাহ (২৫) ও মো. রাশেদ (২০)। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের মূল হোতা জয় চৌধুরী (২৩) পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযানে তিনটি ল্যাপটপ, দুইটি মাউস, একটি ইউএসবি হাব, দুইটি ক্যাবল ছাড়াও ১১৭টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুর কবীর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন রেল স্টেশন সংলগ্ন বাগদাদ হোটেলের গলিতে অভিযান চালিয়ে মো. সাজ্জাদকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে হাতে থাকা শপিং ব্যাগে ৫টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এসব মোবাইল তিনি চোরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। এরপর চোরাই মোবাইল ফোনগুলো কোতোয়ালি থানার সিডিএ মার্কেট রয়েল প্লাজার ইনোভেটিভ ফোন কেয়ারের মালিক হাবিবুল্লাহ মিসবাহ ও তার কর্মচারী মো. রাশেদের কাছ থেকে আইএমইএ পরিবর্তন করে নেন। পরে বুধবার পৌনে ৬টার দিকে ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে হাবিবুল্লাহ মিজবাহসহ দুইজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, বিভিন্ন দোকানি ও লোকজনের কাছ থেকে নামীদামি ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল সেট নিয়ে সেগুলোর আইএমইএ পরিবর্তন করে দেন। এরপর এসব মোবাইল বিভিন্ন শপিং সেন্টারে বিক্রি করা হয়।
ওসি জাহেদুর কবীর আরও বলেন, হাবিবুল্লাহ মিসবাহ দীর্ঘদিন করে এ ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তামাকুমন্ডি লেনের হাসিনা শপিং সেন্টারের নিচ তলায় চৌধুরী ডট নামের একটি দোকানে অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানের মালিক জয় চৌধুরী পালিয়ে যান। এসময় তার দোকান থেকে প্যাকেটবিহীন ১০৪টি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়।
জালিয়াতির মাধ্যমে মোবাইলের আইএমইএ পরিবর্তন করার অপরাধে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৩ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ ধারায় মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি জাহেদুর কবীর।