বরগুনায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব পরতে শুরু করেছে সমুদ্র উপকূল জেলা বরগুনায়। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তত করা হয়েছে ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র। পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে ৩টি মুজিবকেল্লা। এ ছাড়াও ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদরে ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়াও ৩টি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে তালতলীতে ২ টি ও পাথরঘাটায় ১ টি।
এ ছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে জিআর খাদ্যশস্য, শুকনা খাবার, বিস্কুট, ঢেউটিন ও গৃহনির্মাণ ব্যায় মজুদ আছে। এর মধ্যে ২১৯.০৮ জিআর খাদ্যশস্য, ত্রাণ সহায়তা বাবদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ১ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার ও ৭০০ কার্টুন বিস্কুট, ১৯০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং গৃহনির্মাণ বাবদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি আমরা। উপকূলীয় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে সাগরে নিষেধাজ্ঞা চলায় সব জেলেরা নিরাপদে আছেন। যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এতে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।