South east bank ad

ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ৫ স্বার্থপর ইনিংস!

 প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   স্পোর্টস

ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা ৫ স্বার্থপর ইনিংস!

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

এমনটা খুব কমই দেখা যায়, তবুও মাঝে মাঝে ক্রিকেটার ও দলগুলোকে স্বার্থপরতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। ক্রিকেট মূলত দলগত খেলা, তবে দলের মাঝে খেলেই অনেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেন।

কিন্তু কখনো প্রশ্ন জাগে ক্রিকেটার বিশেষ করে ব্যাটার তার দলকে জেতানোর জন্য খেলছে, নাকি নিজের উন্নতির জন্য।

নিচে পাঠকদের জন্য ওয়ানডে ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ৫টি সেরা স্বার্থপর ইনিংস দেওয়া হলো।

১. ২০১২ সালে সিবি সিরিজের ফাইনালে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৪০ বলে ১০০।

ডেভিড ওয়ার্নার রঙিন পোশাকে খেলে সেঞ্চুরি করবেন অথচ তার স্ট্রাইক রেট থাকবে খুবই বাজে, এমনটা চিন্তাও করা যায় না। তবে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ২০১২ সালে। সেবার সিবি সিরিজের দ্বিতীয় ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪০ বল খেলে করেছিলেন ১০০ রান। সেই ইনিংসে মাত্র ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁহাতি। অথচ সেই ম্যাচে তারই সতীর্থ অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ৯১ বলে ১১৭ রান করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিলকরত্নে দিলশানের সেঞ্চুরি, মাহেলা জয়াবর্ধন ও কুমার সাঙ্গাকারার ফিফটিতে ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় লঙ্কানরা।

২. শচীন টেন্ডুলকারের শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।

শচীন টেন্ডুলকারের শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির অপেক্ষার অবসান হয় ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়া কাপে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বরের এমন উদযাপনের দিন হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। এই কিংবদন্তি ব্যাটার সেদিন ১৪৭ বলে ১১৪ রান করেন। প্রথমে ব্যাট করা ভারত সে ম্যাচে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করে। তবে সেদিন তরুণ টাইগারদের কাছে ৫ উইকেটে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তামিম ইকবাল, জহুরুল ইসলাম, নাসির হোসেনের হাফসেঞ্চুরি এবং সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আবার সেই পুরোন প্রবাদ মিলে যায়, যেই ম্যাচে শচীন সেঞ্চুরি করেন, সেই ম্যাচে ভারত হারে!

৩. ২০০৬ সিবি সিরিজে মাইকেল ভ্যানডর্টের ১১৭ বলে ৪৮।

শ্রীলঙ্কান ব্যাটার মাইকেল ভ্যানডর্টের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি ভুলে যাওয়ার মতো। ২০০৬ সালে সিবি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১১৭ বলে মাত্র ৪৮ রান। পুরো ইনিংসে মাত্র ৩টি চার মেরেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩১৯ রানের লক্ষ্যে সে ম্যাচে ১১৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় লঙ্কানরা।

৪. ২০০৭ বিশ্বকাপে জ্যাক কলিসের ৬৩ বলে ৪৮।

জ্যাক ক্যালিস সেদিন একটু মেরে খেললে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যেত। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৩৭৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে ৪৮ ওভারে ২৯৪ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২১ ওভারে ১৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন গ্রায়েম স্মিথ ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। অধিনায়ক স্মিথ ৬৯ বলে ৭৪ ও ডি ভিলিয়ার্স ৭০ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে ওয়ান ডাউনে নামা অভিজ্ঞ ক্যালিস ৬৩ বলে স্লথ গতির ৪৮ রান করেন। শেষ দিকে বোলারদের দাপটে ৮৩ রানে জিতে যায় অজিরা।

৫. ১৯৭৫ বিশ্বকাপে সুনীল গাভাস্কারের ১৭৪ বলে অপরাজিত ৩৬!

সুনীল গাভাস্কারের এই ইনিংসটি হয়তো ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বার্থপর ইনিংস হয়ে থাকবে। ঘটনাটি ১৯৭৫ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে সেসময়ের ৬০ ওভারের ম্যাচে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত পুরো ৬০ ওভার খেললেও ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে। এরমধ্যে ভারতীয় দলের ইনিংসে প্রায় অর্ধেক ওভার গাভাস্কার একাই খেলেন। সেদিন তিনি ১৭৪ বল মোকাবিলা করে মাত্র ৩৬ রান করেছিলেন। চার মেরেছিলেন মাত্র একটি।ভারত হারে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে।

BBS cable ad

স্পোর্টস এর আরও খবর: