৭৭ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে আজ দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন লিটন দাস। আর সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক টি২০তে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হলেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ একই ম্যাচে দুজনের দুটি গৌরবোজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ভর করে আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ। কর্তৃত্বপূর্ণ এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হলো স্বাগতিকদের।
টস হওয়ার পর দুই দফায় বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বিলম্বিত হলে ম্যাচটি ১৭ ওভারের করা হয়। এই ম্যাচে কর্তৃত্ব করেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। ১৮ বলে ফিফটি করেন লিটন। ৫ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে স্বাগতিকরা বিনা উইকেটে ৭৩ রান তুলে নেয়। সেই গতি ছিল শেষ পর্যন্ত। ১৭ ওভারে তিন উইকেটে ২০২ রানের সৌধ গড়ে স্বাগতিকরা।
লিটন ১০টি চার ও তিন ছক্কায় ৪১ বলে ৮৩ রান করেন। এছাড়া রনি তালুকদার ২৩ বলে ৪৪, সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩৮* ও তৌহিদ হৃদয় ১৩ বলে ২৪ রান করেন। তাতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় দুশোর্ধ্ব রানের সংগ্রহ।
প্রথম ম্যাচের মতো আজও লিটনের ব্যাটে ঝড় ওঠে। তবে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও তিনি আউট হয়ে যান। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৬ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙলেন লিটন। এর আগেও তিনি কাছাকাছি গিয়েছেন। ২১ বলে ফিফটি করে ছিলেন আশরাফুলের পরেই। আজ দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ২৪ বলেও ফিফটি আছে। এছাড়া মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে ও আফিফ হোসেনের ২৪ বলে ফিফটি রয়েছে।
লিটনের পর সাগরিকায় দেখা গেল সাকিব-শো। তাসকিন আহমেদ প্রথম বলেই পল স্টার্লিংকে সাজঘরে ফেরান। এরপর সাকিবের ঘূর্ণি বিষে নীল আইরিশরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই নিজের প্রথম বলে লরকান টাকারকে শিকার করেন সাবিক। এরপর চতুর্থ ওভারে দুটি ও ষষ্ঠ ওভারে দুটি উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশ দলনায়ক। এর মধ্য দিয়ে টিম সাউদিকে (১৩৪) টপকে আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হন সাকিব। ১১৪ ম্যাচে ১৩৬ উইকেট শিকার করলেন তিনি। আর সাউদি ১৩৪ উইকেট নেন ১০৭ ম্যাচে। আফগানিস্তানের রশিদ খান ৮০ ম্যাচে ১২৯ উইকেট নিয়ে সাকিবের জন্য হুমকি হয়ে আছেন।
টি২০তে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নিলেন সাকিব। তার সেরা বোলিং ফিগার ৫/২০। মিরপুরে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছিলেন বামহাতি স্পিনার।
তাসকিন পরে আরো দুটি উইকেট নেন। তাতে আইরিশরা ৯ উইকেটে ১২৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। তাসকিন ২৭ রানে নেন তিন উইকেট। কার্টিস ক্যামফার ৩০ বলে ৫০ রান, হ্যারি টেক্টর ১৬ বলে ২২ ও গ্রাহাম হিউম ১৭ বলে ২০ রান করেন। ৩৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করা সাকিবই ম্যাচসেরা।