South east bank ad

ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কর্মকর্তা নিয়োগ

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   দুদক

ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কর্মকর্তা নিয়োগ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীতে আটতলা বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের সম্পদ অর্জন ও বাড়ি দখলের বিষয়ে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়ছিলেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনার আগে থেকেই ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার ওসি মনিরুলের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারি হওয়া এক আদেশে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জাননো হয়।

রমনা মডেল থানার এ ওসির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির একটি অভিযোগ গত ১০ আগস্ট হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ অভিযোগটি আগে দুদকে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। হাইকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যারিস্টার সুমন পরের দিন ১১ আগস্ট ওসির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দুদকে জমা দেন। তারই আলোকে কমিশন ওসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে ৪ আগস্ট ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ওসি মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ওই দৈনিকের অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়েও অনেক বেশি।

রাজধানীতে আটতলা বাড়ি-প্লটসহ বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের সম্পদ অর্জন ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একই সাথে, ‍ওসির বিষয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট।

আইনজীবীরা জানান, ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মনিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর ওসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল ইসলাম, যখন এ পদটি তৃতীয় শ্রেণির ছিল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক হন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়।

BBS cable ad

দুদক এর আরও খবর: