পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিদেশে ৭১ চিঠি দুদকের
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের বিষয়ে জবাব এসেছে।
মঙ্গলবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সভা হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
সভায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদকের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইইউ প্রতিনিধি দল।
ইইউ প্রতিনিধি দল জানায়, বৈঠকে দুদকের পক্ষ থেকে কীভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদককে কারিগরি সহায়তার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, মানি লন্ডারিং, পাচার হওয়া অর্থ কীভাবে ফেরত পেতে পারি, তা নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অর্থ পাচার হওয়া দেশগুলোর নাম তাদের কাছে তুলে ধরেছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়, সিঙ্গাপুরে মানিলন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে হাসিনা সরকারের আমলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বেশ জোরেশোরে তৎপরতা শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে এফবিআই, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে সংস্থাটি।