বাংলাদেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল থাকতে হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক দাবানল’-এর সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই বলে যারা বলছে তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। যারা আলোর মতো এ সত্যকে অস্বীকার করে তাদের মুখ থেকে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শুনতে চাই না। বাংলাদেশে থাকতে হলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে মেনে চলতে হবে।

দাবানল পত্রিকাটির চেতনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অপপ্রচার হয়েছে। অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও স্পিরিট মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাবানলের মতো বেশ কয়েকটি পত্রিকা। সেই পত্রিকা আবার নতুন কলেবরে আসছে। সুতরাং অপপ্রচারকারীরা সাবধান। কারণ, আবার আসছে দাবানল।

দাবানলের প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও পৃষ্ঠপোষক জাতীয় নেতা শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর বড় সন্তান প্রয়াত ড. মোহাম্মদ সেলিমকে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ড. সেলিম জীবনের বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। অনেকে আরাম-আয়েশি জীবন ছিলো তার। তবুও দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা ভুলে যাননি তিনি। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি পত্রিকার প্রকাশের কথা অনুভব করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। সে সময় জাতির জনকের দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশে থেকে এ হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ব জনমত তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রায়শই বলেন ‘রক্ত কথা বলে’। আজ জাতীয় নেতা শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর বড় সন্তান প্রয়াত ড. মোহাম্মদ সেলিমের একমাত্র ছেলে মো. শেহেরিন সেলিম রিপন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে যে ‘দাবানল’ পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন এতে প্রমাণ হয় সত্যি ‘রক্ত কথা বলে’।

এ সময় তিনি শেহেরিন সেলিম রিপনের এ চিন্তা ও উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সন্তান রেজাউল করিম, আবৃত্তি শিল্পী মাহিদুল ইসলাম।

শহিদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও দাবানল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. শেহেরিন সেলিম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।