শিরোনাম

South east bank ad

ব্যাংক খাতে আশার হাতছানি

 প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংক খাতে আশার হাতছানি

দেশের শেয়ারবাজারে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে ব্যাংক খাত। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত ২৯ দিনে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোতে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। একই সময়ে প্রতিদিন খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত।

অন্যদিকে বিদায়ি সপ্তাহে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ রয়েছে ১০ শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৪১২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ১০৭টির দর বেড়েছে, ২৭১টির দর কমেছে, ১৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৬টির লেনদেন হয়নি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের দশটি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন করে পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের ১০ কার্যদিবসে ব্যাংক খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। এর আগের মাসে অর্থাৎ আগস্টের ১৯ কার্যদিবসে খাতটিতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সেই হিসাব অনুযায়ী ২৯ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। আরও জানা যায়, ডিএসইতে গত আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহে ব্যাংক খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে। সবশেষ গত তিন সপ্তাহে এ খাতে কিছুটা নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর আগে জুলাই, জুন ও মে মাসে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৯৩১ কোটি, ৫০০ কোটি এবং ৮৫৪ কোটি টাকা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত আগস্টে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২ হাজার ৬৫৫ কোটি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি এবং বস্ত্র খাতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গত জুনে খাত তিনটিতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৭ কোটি, ১ হাজার ২৫২ কোটি ও ৮১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া মে মাসে এসব খাতে লেনদেন হয়েছিলযথাক্রমে ২ হাজার ৯০৯ কোটি, ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ও ১ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা।

গত আগস্টে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা, আগের মাসে যা হয়েছিল ১১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। দৈনিক গড় হিসাব অনুযায়ী এক্সচেঞ্জটিতে গত মাসে লেনদেন হয়েছে ৮৬২ কোটি টাকা, আগের মাসে যা ছিল ৬১৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাসের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

শেয়ারবাজারে গত জুলাইয়ে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা। যা আগস্ট শেষে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৭২৭ পয়েন্ট। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৭১৪ পয়েন্ট।

বাজার সূত্র বলছে, শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৪১ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০১ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০৮ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ইসলামী ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মা, ইউসিবি ও কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ারের।

বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৮.৬৯ শতাংশ কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা যায়।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: