ডায়মন্ডের অলংকার কেনা-বেচা ও বিপণনে বাজুসের নতুন নির্দেশনা
দেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্য, ব্যবসায়িক সুনাম ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডায়মন্ডের অলংকার কেনা-বেচা ও বিপণন নির্দেশিকা-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা নিচে দেওয়া হলো-
ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে ফোরসি তথা (কালার, ক্ল্যারিটি, ক্যারেট, কাট) মানতে হবে।
ডায়মন্ড জুয়েলারিতে শুধুমাত্র ন্যাচারাল ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করা যাবে।
প্রাকৃতিক ডায়মন্ডের নামে সিজেড (কিউবিক জিরকন), এডি (আমেরিকান/আর্টিফিশিয়াল ডায়মন্ড), সিভিডি ল্যাবগ্রোন/সিনথেটিক ডায়মন্ড, এইচপিএইচটি (ট্রিটেড/পরিবর্তিত) ন্যাচারাল ডায়মন্ড, মোজানাইট বিক্রি করা যাবে না।
ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান: কালার- জেআই, ক্ল্যারিটি-এসআই থাকতে হবে।
ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির সময় বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য নয়।
ডায়মন্ড জুয়েলারিতে ১৮ ক্যারেটের নিচে সোনা ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব সার্টিফিকেট দিয়ে যারা ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রি করবে না তাদের নামে বাজুস সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
ডায়মন্ডের অলংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার কাছ থেকে কেনার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বাদ দিতে হবে (ভ্যাট বাদে মোট মূল্যের ওপর)।
ডায়মন্ডের অলংকারের ক্ষেত্রে যদি সোনার ক্যারেট, ওজন ও সেন্ট’র গড়মিল পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যদি সরকারি সংস্থা কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে বাজুস কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না।
ডায়মন্ড জুয়েলারির প্রতিটি পণ্যের ট্যাগে বাধ্যতামূলক বিক্রির মূল্য থাকতে হবে।
ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে কম্বো অফার এবং কোনো পণ্য সামগ্রী ফ্রি দেওয়া যাবে না।
ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়া যাবে। যদি কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম অমান্য করে তাহলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাজুসের তত্ত্বাবধানে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই টাস্কফোর্স যেকোনো সময় যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ডায়মন্ডের অলংকারের মান, ওজন যাচাই-বাছাই করতে পারবে।
সর্বোপরি বাজুসের নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
এই অবস্থায় ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে উল্লেখিত বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করে ব্যবসাকার্য পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাজুস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়