শিরোনাম

South east bank ad

বাজারে ফের আসছে ইলিশ, দাম কমছে শীতের সবজির

 প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   ক্রয়-বিক্রয়

বাজারে ফের আসছে ইলিশ, দাম কমছে শীতের সবজির
প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে আবারও ইলিশ শিকার শুরু করেছেন জেলেরা।  শুক্রবার থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে ইলিশ, তবে পরিমাণে খুবই কম।  এর ফলে তিন-চারদিনের মধ্যেই ইলিশের দাম আবারও কমে গিয়ে গরীব-মধ্যবিত্তের নাগালে আসবে বলে আশা বিক্রেতাদের। এদিকে প্রকৃতিতে শীতের দেখা না মিললেও বাজারে আসছে শীতের সবজি।  দামও আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে।  অন্যদিকে বাজার থেকে বিদায় নিচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি, দামও কিছুটা বাড়তি। শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) নগরীর আসকার দীঘির পাড়ের কাঁচাবাজার ও কাজীর দেউড়ি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আসকার দীঘির পাড়ের কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা মো.জাকির হোসেন বলেন, সকালে ফিশারিঘাটের পাইকারি বাজারে কিছু ইলিশ এসেছে।  ২০ কেজি এনেছি।  কেজি ১০০০ টাকায় বিক্রি করছি।  নিম্নচাপ চলে গেলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।  তখন দাম হয়তো আগের মতো কমে যাবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ছোট ইলিশ প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন জাকির। কাজীর দেউড়ি বাজারে প্রতিটি এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়।  আধাকেজি কিংবা তার চেয়ে কম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। কাজীর দেউড়ি বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে।  আশা করছি বিকেল থেকে আমরা পাব।  দাম আবারও কমে যাবে। এদিকে সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, দোহাজারী, বাঁশখালী, রাঙ্গুনিয়া থেকে শীতের সবজি আসা শুরু হয়েছে।  এতে গত সপ্তাহের চেয়ে শীতের সবজির দাম কিছুটা পড়তির দিকে। অভিজাত বাজার কাজীর দেউড়িতে যে কোন সবজির দামে অন্যান্য বাজারের চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।  কাজীর দেউড়ি বাজারে গত সপ্তাহে ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়, অন্য কাঁচাবাজারে যা ছিল ১০০ টাকার মধ্যে। শুক্রবার সেই কাজীর দেউড়ি বাজারেই ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকায়।  আসকার দিঘীর পাড়ের বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। কাজীর দেউড়ি বাজারে বাঁধাকপি গত সপ্তাহের চেয়ে কমপক্ষে ১০ টাকা দাম কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।  ভারতীয় নতুন আলু ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  টমেটো ১০০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  মূলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন ও বারোমাসি সবজির মধ্যে বড় বেগুন ৭০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা এবং কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা জানে আলম বলেন, শীতের সবজি গত সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে আসছে।  এজন্য দাম ৫-১০ টাকা করে কমতে শুরু করেছে।  আর গ্রীষ্মের সবজির মৌসুম তো শেষ।  দাম কিছুটা বেশি। শীতের শাকের মধ্যে প্রতি আঁটি কপি শাক ২০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ২০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা এবং সরিষা শাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাজীর দেউড়ি বাজারে।  আসকার দীঘির পাড়ের বাজারেও দাম প্রায় একই। শীতের শাকের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা জুয়েল মিয়া। আসকার দীঘির পাড়ের বাজারে কথা হয় সেখানকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে।  তিনি বলেন, শীতের সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কম পেয়েছি।  তবে দাম এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।  সরবরাহ আরও বাড়লে হয়ত দাম কমবে। শুক্রবার আমদানি করা (লাইনের) রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি রুই আকার ভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, লাইনের কাতলা ৩০০ টাকা, দেশি ৪০০ টাকা, বোয়াল ৫৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, আনোয়ারার জীবিত পাবদা ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ টাকা, চকরিয়ার টেংরা ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩৫০ টাকা, সমুদ্রের লাল কোরাল ৫০০ টাকা, দেশি কোরাল ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি মাঝারি ৭৫০ টাকা, বড় ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজীর দেউড়ি বাজারে গরুর রানের মাংস (হাড় ছাড়া) ৫৫০ টাকা, হাড়সহ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  খাসির মাংস ৬০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা, দেশি মোরগ ৩৩০ টাকা, পাকিস্তানি মোরগ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
BBS cable ad

ক্রয়-বিক্রয় এর আরও খবর: