আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দরপতন

পাঁচ সপ্তাহের সর্বোচ্চে পৌঁছার পর আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তুলে নিতে বিক্রয় বাড়ানোর প্রবণতা পণ্যটির দাম কমিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ বাড়ার আশঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতিনির্ধারণী সভা নিয়ে উদ্বেগও বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
স্পট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম নেমেছে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩৮৫ ডলার ২০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কম। এদিন বেচাকেনার শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭ জুনের পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম দশমিক ৩ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩৯৬ ডলার ১০ সেন্টে নেমেছে।
রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের সিনিয়র কমোডিটি অ্যানালিস্ট জিগর ত্রিবেদী বলেন, ‘মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। তবে ১ আগস্টে ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কের সময়সীমা ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকায় দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। সামনের দিনগুলোয়ও মূল্যবান ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।’
এদিকে আসছে সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডের নীতিনির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সুদহার স্থিতিশীল রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অক্টোবর থেকে সুদহার কমানোর ইঙ্গিত মিলছে। সাধারণত কম সুদহার এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময় বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়।
স্পট মার্কেটে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে গতকাল রুপার দাম দশমিক ৩ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি নেমেছে ৩৮ ডলার ৭৪ সেন্টে। একই সময় প্লাটিনা দশমিক ৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ১ হাজার ৪৩৩ ডলার ২০ সেন্টে। এছাড়া গতকাল প্যালাডিয়াম ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ১ হাজার ২৪২ ডলার ৫৪ সেন্টে।
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ প্যালাডিয়াম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার নোরনিকেল জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কিছুটা কমতে পারে। সংশোধিত হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির প্যালাডিয়াম উৎপাদন হতে পারে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার থেকে ২৭ লাখ ২৯ হাজার আউন্স। এটি এর আগে দেয়া ২৭ লাখ ৪ হাজার থেকে ২৭ লাখ ৫৬ হাজার আউন্সের পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা কম।