শিরোনাম

South east bank ad

নির্বাচনের আগেই এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা আজিজ খানের

 প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   কর্পোরেট

নির্বাচনের আগেই এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা আজিজ খানের

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে সামিট গ্রুপের আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে আজিজ খান বলেন, ‘বছরে ১৫ লাখ টন এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে আমরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে আলোচনা করছি। ২০২৬ সাল থেকে ১৫ বছরের জন্য এলএনজি সরবরাহে এ চুক্তি করা হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ক্রমাগত কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে প্রচুর এলএনজির প্রয়োজন। অত্যন্ত কঠিন সময়েও দেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৬ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। তাই এ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য এলএনজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এলএনজির দর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং এতে ক্রমক্ষয়মান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে জ্বালানি আমদানির অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ কারণে দেশটিকে বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে হয়েছে। আমদানীকৃত জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করতে হয়েছে। 

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশই গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আজিজ খান প্রত্যাশা করছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে বাংলাদেশের বার্ষিক এলএনজি আমদানি বাড়বে। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘২০২৬-২৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বছরে ৮০-৯০ লাখ টন ও ২০৩০ সালে কমপক্ষে এক কোটি থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করবে। এলএনজি আমদানির জন্য সামিট একটি এলএনজি ক্যারিয়ার সংগ্রহে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যেটি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হবে। এটি হবে বাংলাদেশে সামিটের দ্বিতীয় এফএসআরইউ এবং ২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এটি চালু হবে।’

পেট্রোবাংলা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এলএনজি আমদানির জন্য তিনটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে ওমানের ওকিউ ট্রেডিংয়ের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদে, কাতার এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছরের এলএনজি আমদানির চুক্তি রয়েছে। এ তিন চুক্তি অনুসারে ২০২৬ সালে এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে।

সামিট বর্তমানে বাংলাদেশে চালু থাকা দুটি এফএসআরইউর মধ্যে একটির মালিকানায় রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনাধীন মাতারবাড়ী অনশোর এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের দৌড়ে জেরা ও সুমিতমো করপোরেশনের সঙ্গে সামিটও রয়েছে।

বর্তমানে কাতারের রাস লাফান লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও ওমানের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডের সঙ্গে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে কাতারের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বার্ষিক ১৮-২৫ লাখ টন এলএনজি সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদে চুক্তি রয়েছে। আর ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত ওমানের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বার্ষিক ১০-১৫ লাখ টন এলএনজি সরবরাহে ১০ বছরের চুক্তি রয়েছে।

BBS cable ad

কর্পোরেট এর আরও খবর: