বাজার কেন লাগামহীন? কারণ জানাল ঢাকা চেম্বার
ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়েছে বলে উঠে এসেছে ঢাকা চেম্বারের এক গবেষণায়। সুফল পেতে সঠিক পরিকল্পনার তাগিদও এ সংগঠনটির।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে এক সেমিনারে গবেষণার ফল তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও পণ্য বাজার নিয়ে গবেষণা ফল প্রকাশ করতে এ সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এতে তুলে ধরা হয় দাম বৃদ্ধি ও বাজার ব্যবস্থাপনার নানা খুঁটিনাটি।
সেমিনারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে অদৃশ্য সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে দাবি করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
তিনি জানান, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। বাজারের এমন অসঙ্গতির সুযোগ নিচ্ছে অসাধু বিক্রেতারা।
আশরাফ আহমেদ বলেন, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে সাপ্লাই, ট্রান্সপোর্টেশন ও প্রসেসিং এই তিনটি ফ্যাক্টর যখনই আমরা হোলসেল স্টেজে এক করছি, তখনই দেখা যাচ্ছে যে অনেকগুলো জায়গায় বড় ধরনের কস্ট ইনফ্লেশন হয়েছে।
এদিকে, এদিকে সংকট মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আলোচনা হয় ডিমের চড়া মূল্য নিয়ে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
সভায় অংশ নেয়া এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্রাইসিস মুহূর্তে ডিমগুলোকে বাজারে সরবরাহ করলে ভোক্তার জন্য উপকার হয়। ক্ষুদ্র খামারিদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তারপর আপনি কোম্পানির বিষয়টা দেখেন।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িদের নৈতিকভাবে আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দেন এফবিসিসিআইয়ের হাফিজুর রহমান প্রশাসক।
এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, এই ক্রাইসিসে মার্কেট বন্ধ রেখে বা দোকান বন্ধ রেখে অযথা সাপ্লাইচেইনে ক্রাইসিস তৈরি করবেন না। এটি একটি বলে দেবেন, আমরাও সেখানে চেষ্টা করবো। আপনারাও সতর্ক থাকবেন যেন দাম যেটা হয়, আপনারা এক সময় লাভ করবেন বেশি, এক সময় কম করবেন। এখন একটু কম করার সময় বা না করার সময়।
এফবিসিসিআই আয়োজিত সভায় ডিমের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা অংশ নিলেও আসেননি কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।