পদ্মায় নৌ দুর্ঘটনায় নলছিটির ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম

মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):
পদ্মায় নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী এসএম নাসির উদ্দিন সিকদারের (৪৫) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ভাইয়ের মৃত্যুতে কাতর সহোদররা। ভাই বোনদের কান্না দেখে প্রতিবেশীরাও চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি। জানা যায়, মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুস সিকদারের ছেলে এসএম নাসির উদ্দিন সিকদার ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। ঢাকায় তিনি ঠিকাদারি কাজ করতেন। মাঝে মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের খবর নিতে বাড়িতে আসতেন। মগবাজারের বাসায় তিনি, তার স্ত্রী রেশমা বেগম, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ির একটি রাস্তার কাজ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হন। ওই কাজের উদ্বোধন করার জন্য সোমবার সকালে ঢাকা থেকে নলছিটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মাদারিপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার উদ্ধার করার পরে টেলিভিশনে মৃত দেহ দেখে পরিবারের লোকজন তাকে চিনতে পারেন। নাসির উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নলছিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ছুটে যায়। বাড়িতে তার বড় ভাই ফিরোজ সিকদার থাকেন। ভাই বোনদের বিলাপে ভারী হয়ে যায় সেখানকার বাতাস।
নিহতের বড় ভাই ফিরোজ সিকদার জানান, তার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। ৫ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাসির চতুর্থ। ঢাকায় থাকায় তিনি ছিলেন সবার আদরের। তার মৃত খবর কিছুতেই মানতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। মৃত খবর পেয়ে নাসিরের স্ত্রী ও সন্তানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ নিয়ে রাতে নলছিটি গ্রামের বাড়িতে আসবেন। তাদের আনার জন্য মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও পার্শ্ববর্তী নাচনমহল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সেলিম ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। রাতে গ্রামের বাড়ির উঠানে তঁার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, নাসির ঢাকায় ঠিকাদারি কাজ করতেন। তিনি এলাকায় একজন জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। এলাকার গরিব মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল। ঘাট থেকে স্পিড বোটে নদী পার হওয়ার সময় বালুর জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তঁার মৃত্যু ঘটে।একজন ভালো মানুষের এভাবে মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তার লাশ নিয়ে আসতে রাত ৮টা বাজবে। এর পরে জানাজা ও দাফন হবে।