শিরোনাম

South east bank ad

শরীয়তপুরের ডিসি হিসেবে যোগদানের পর অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন পারভেজ হাসান

 প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলা প্রশাসক


মোঃ পারভেজ হাসান। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। তার অভূতপূর্ব সাফল্যে আলোকিত হয়ে উঠেছে শরীয়তপুর জেলা। ডিসি হিসেবে তিনি জেলার প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলা ও ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ শিক্ষা, সংকৃতি, আইনশৃঙ্খলা, মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে পুরো জেলায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন।
২২ তম বিসিএসের এ কর্মকর্তা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। করোনার এমন ভয়াবহতার মধ্যেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে মাস্ক ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছেন।

মোঃ পারভেজ হাসানের যুযোপযোগী উদ্যোগ ও প্রশাসনের নিরলস পরিশ্রমের সুফল শরীয়তপুরের মানুষ এরইমধ্যে পেতে শুরু করেছে। লকডাউনের সুফলের কারণে সংক্রমণের হার অনেক কমেছে। শহরের যেসব এলাকায় একসাথে অনেক লোকের সমাগম হচ্ছে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে মাইকিংও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক মানার ওপর বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী আজ বিপর্যস্ত। দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানবিক সহযোগিতা নিয়ে সমাজের অসচ্ছল ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলাকালীন সময়ে জেলার অসচ্ছল, ছিন্নমূল, বাস্তুহারা, হতদরিদ্র, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ইমারত নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। কর্মহীন কেউ যাতে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ না যায় তা কঠোরভাবে তদারকি করারছে ডিসি পারভেজ হাসান।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শতাধিক শ্রমজীবী মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১০ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ‘শৈশব’ ও ‘তারুণ্য’ নামে দুটি সংগঠনের সহযোগিতায় খাবারগুলো বিতরণ করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান মনে করেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের এই ক্রান্তিকালে সমাজের এ মানুষগুলোর সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের বার্তা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমি শরীয়তপুর। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী এই মহাপুরুষের জন্ম যে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় তারই একটা অংশ নিয়ে সময়ের পরিক্রমায় গঠিত হয়েছে আজকের এই শরীয়তপুর। পদ্মার পলিতে গড়া, মেঘনার মায়ায় ঘেরা এ জেলাটি মাতৃমমতায় জড়িয়ে রেখেছে সবুজে শ্যামলে ছড়ানো ক্ষেত, গড়ে উঠেছে এক জল-জঙ্গলের কাব্য।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইত্যাদি বৃহৎ প্রকল্পের (Mega Project) অংশ হতে পেরে হাজী শরীয়তুল্লাহ্‌র নামে নামকরনকৃত এ জেলা আজ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভীষ্ট (MDG) অর্জনে বাংলাদেশ নিজেকে নিতে পেরেছে অনন্য উচ্চতায়। তাই বাংলাদেশ আজ ‍উদ্যমে অদম্য, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বিশ্বের বিস্ময়। এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন-২০২১ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG) তথা দারিদ্র্য দূরীকরণ, ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠন, সকলের জন্য নিরাপদ, যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রচলন, সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সমতা প্রতিষ্ঠা, সকলের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ, সুলভ ও স্বাস্থ্যকর জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, ভূমি, পানি ও প্রতিবেশের টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান রক্ষা ইত্যাদি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে একটি মর্যাদাবান, দায়িত্বশীল ও উন্নত রাষ্ট্র নির্মাণে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। একইসাথে ২০৪১ সালে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, স্বাবলম্বী আত্নমর্যদাসম্পন্ন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভিশন-২০৪১ ও ২১০০ সালে পানি সম্পদ, ভূমি, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই ও বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ (Delta Plan) ইত্যাদিকে করতে পেরেছে পাখির চোখ। জাতীয় পর্যায়ে এসকল অর্জনের পথে রূপালি ইলিশের অফুরন্ত উপহার, বৈচিত্র্যপূর্ণ বনানীর অবাধ উল্লাস, জল-জঙ্গলের বিচিত্র মেলবন্ধন, নরম সোঁদা মাটির বিস্তীর্ণ প্রান্তর, উষ্ণ হৃদয়ের উদ্যমী মানব সম্পদ আর পদ্মা সেতুর সফল সংযোগ পদ্মা-মেঘনার মিলিত স্রোতধারায় সিক্ত শরীয়তপুর জেলাকে করেছে অপার সম্ভাবনাময়।

ফল-ফসলের অবাধ আবাদের সুযোগ, রাজধানীর নৈকট্য, সেতুর পশ্চিম প্রান্তে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা জাতীয় অগ্রগতিতে রাখতে পারে অসামান্য অবদান। সরকারের উল্লিখিত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও অভীষ্ট অর্জনে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচিসমূহ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে জনগণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ইউনিট জেলা প্রশাসন। জেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে জেলা প্রশাসক নিবিড়ভাবে কাজ করায় জেলা প্রশাসনকে ঘিরেই জেলা পর্যায়ের সরকারের সকল দপ্তরের কাজ পরিচালিত হয়। তাছাড়া, ভূমি ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ট্রেজারী, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, পাবলিক পরীক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে জেলা প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জনগণ এ কার্যালয়ের প্রদেয় সুবিধাসমূহ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুততার সাথে স্বল্প খরচে পেতে পারেন। এছাড়া, জনগণ চাহিদা মোতাবেক সেবাসমূহের জন্য জেলা ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে অন-লাইনে আবেদন এবং সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এর ফলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সরেজমিন উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমান পৃথিবী কোভিড-১৯ নামক এক প্রাণ সংহারী অতিমারীতে (Pandemic) আক্রান্ত যা সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রাকে করেছে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত। কিন্তু অজেয় মানুষ অদম্য উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে আবার। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, মুখোশ (Mask) পরিধান, জীবানুনাশক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, স্পর্শ এড়িয়ে কার্যসমাধার কৌশল অবলম্বন, ভার্চুয়াল সভা, আড্ডা, সমাবেশের আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যেমে শুরু করেছে এক নয়া স্বাভাবিক জীবনবাদ (New Normal Life)। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ সরকারের ভিশন-২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০, ভিশন-২০৪১, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়ন তথা সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, আত্ম মর্যাদাশীল সোনার বাংলা নির্মাণে নয়া স্বাভাবিক জীবনবাদ (New Normal Life)-এর এই অস্বাভাবিক সময়ে এই ওয়েব সাইটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন সরকারি বিভাগের সহায়তায় সাইটটি নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ওয়েব সাইটটি সময়ের সাথে সাথে পরিমার্জন করা হচ্ছে যেন সময়োচিত ও অর্থবহ তথ্যসমূহ পাওয়া যায়। জেলার জনগণের জীবন-মান উন্নয়ন এবং সহজীকরণে যে কোন ধরণের পরামর্শ সর্বদা সাদরে গ্রহণ করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন যাত্রায় আমরা পৌঁছে যাব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়-এটিই আজকের শপথ।

BBS cable ad

জেলা প্রশাসক এর আরও খবর: