স্বচ্ছ ইসি গঠনের প্রস্তাব দেবে আ’লীগ
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গভবনে আজ (১৭ জানুয়ারি) সোমবার বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এই সংলাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন, আগামী নির্বাচনে ইভিএম বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে ‘সময় নিয়ে’ ইসি গঠনবিষয়ক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব নিয়েই বঙ্গভবনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যাবে। নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুুর রহমান।
সংলাপে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা স্বচ্ছ ইসি গঠন, সময় নিয়ে গ্রহণযোগ্য আইন করা, ইসি গঠনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা এবং ইভিএমের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেব।”
আইন প্রণয়ন কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা কিন্তু ইতোমধ্যে বলে ফেলেছি। আমাদের আইনমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন যে আমাদের প্রেক্ষাপট এবং অন্যান্য দেশের প্রেক্ষাপট দেখব। তবে আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। তবে সামনেই আইনটা করব। এটা আজ থেকে প্রায় দুই-তিন মাস আগেই বলেছি।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ।
গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গভবনে এবারের সংলাপের খাতা খোলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই শেষ হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির এবারের সংলাপ।
আলোচনা শেষ হওয়ার পর গঠন করা হবে ‘সার্চ কমিটি’। এই কমিটি নতুন ইসি গঠনের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সেই প্রস্তাব থেকে বেছে নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি। সেই কমিশনের অধীনেই ২০২৩ সালের শেষের দিকে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।