পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
কভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক বাণিজ্য আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আগামীতেও বাণিজ্যের এ গতি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কারণে আকাশপথে পণ্য পরিবহনসহ বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দেশের বিমানবন্দরগুলোর চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে গতি আনার আহ্বান জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠকে এ আহ্বান জানায় বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধি দল।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মাফিদুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের বিমানবন্দরগুলোকে উন্নত করার জন্য সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চাহিদা পূরণ করবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখবে।
আকাশপথে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, কভিড-১৯-এর প্রভাব কাটিয়ে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাণিজ্যের গতি আসন্ন দিনগুলোয় অব্যাহত থাকবে। অনেক দেশ কভিড পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করছে। ফলে ব্যবসায়িক ভ্রমণ ও আকাশপথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ সভাপতি নতুন টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে সম্প্রসারণসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিমানবন্দরসহ প্রধান প্রধান বিমানবন্দর উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
উক্ত বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রসারিত হচ্ছে। সুতরাং আমদানি-রফতানি ও বিনিয়োগও বাড়ছে। তাই আধুনিক সুবিধাসহ নতুন টার্মিনাল চালু হলে দেশের বাণিজ্য দ্রুততর হবে। বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু নতুন টার্মিনাল কার্গো ও যাত্রী উভয় ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতা বাড়াবে।
তাই এটি যাত্রী ও ব্যবসায়ী উভয়ের কাছেই আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করেন তারা।
এ সময় বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসকে দুবাই ও লন্ডনে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পাশাপাশি টরন্টো, নিউইয়র্ক, ম্যানচেস্টার, ফ্রাংকফুর্ট, আমস্টারডাম, প্যারিস, রোম ও বার্সেলোনার মতো দীর্ঘ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানান।
এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোর্ডের মাধ্যমে সরকারকে আকাশপথে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনের বর্ধিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ৪টি কার্গো ফ্রেইটার (কার্গো এয়ারক্রাফট) সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন তারা।