পেট্রোকেমিক্যাল হাব নির্মাণে জাইকার সহায়তা চায় এফবিসিসিআই
দেশে প্লাস্টিক শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পেট্রোকেমিক্যাল হাব গড়ে ওঠেনি। দেশের শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সচল রাখতে পেট্রোকেমিক্যাল হাব নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই। পাশাপাশি টেকসই জ্বালানি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে মাতারবাড়ী-মহেশখালী প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ আহ্বান জানান বক্তারা।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব সুযোগ কাজে লাগাতে আরো বেশি অবকাঠামো, বন্দর ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন। এসব খাতের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা কামনা করেন সভাপতি।
দেশে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে মাতারবাড়ী-মহেশখালীতে এ শিল্পে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান মো. জসিম উদ্দিন।
বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করে মাতারবাড়ী মহেশখালী প্রকল্পকে সফল করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাইকার মূল কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর আসাকাওয়া ইউকা।
এফবিসিসিআইয়ের ইনোভেশন ও রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় জাইকার সহায়তা চান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে আট লেনে উন্নীত করার ব্যাপারে প্রাক-মূল্যায়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া ও লজিস্টিকসের উন্নয়েন জাইকার ভূমিকা প্রত্যাশা করেন পরিচালক আবুল কাসেম খান।
বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন ও পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন পরিচালক আমজাদ হুসেইন।
প্রসঙ্গত, জাপানের এ উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গত জুনে ১৪৪ কোটি ডলারের (১৬ হাজার ৫৮৬ কোটি ইয়েন) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।