ভারত ও চীনে আমাদের পণ্যের প্রচার বাড়াতে হবে —এফবিসিসিআই সভাপতি
দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ভারত ও চীনের সম্পর্ক ভালো নয়। অথচ দেশ দুটির বাণিজ্য প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের। আমরা ভারতে রফতানি করি মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ আমরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। আমাদের সিরামিক বিশ্বমানের। তাই আমাদের ভারতে পণ্যের প্রচার বাড়াতে হবে, সেই সঙ্গে চীনেও বাড়াতে হবে।’
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত গতকাল ‘এফবিসিসিআই মেম্বার্স নাইট ২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বমানের যেসব পণ্য আছে, সেসব পণ্যের প্রচার বাড়াতে হবে। ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশে এ প্রচার দরকার। নতুন নতুন বাজার খোঁজা দরকার। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানি আমাদের মোট রফতানির ৮৬ শতাংশ। অন্য পণ্যের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। চামড়া, পাটজাত পণ্যসহ যেসব পণ্যে আমরা এগিয়ে আছি, সেসব পণ্য নিয়ে বিশ্ববাজারে যেতে হবে।’
এসএমই খাত নিয়ে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাংকগুলো মনে করে ছোট ছোট ঋণ দিলে সেটি লাভজনক হয় না। এটি ভুল কথা। কারণ এসএমই খাতে ঋণ পরিশোধের হার প্রায় শতভাগ। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এফবিসিসিআইয়ে এসএমই হেল্প ডেস্ক খোলা প্রয়োজন। এসএমই খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, সেগুলো নিয়ে সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা, হঠাৎ করে কোনো নির্দিষ্ট পণ্য যেমন পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল ইত্যাদির মূল্য বেড়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এর মূল কারণ খুঁজে বের করা, মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে তাৎক্ষণিক করণীয় নিয়ে পরামর্শ প্রদান এবং গত দুই বছরে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমি আমার সাধ্যমতো একটা সুন্দর ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছি।’
এফবিসিসিআই সভাপতি হিসেবে নিজের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি তার সময়ের নানা সাফল্য তুলে ধরেন। আগামীতে নতুনভাবে যারা নির্বাচিত হবেন তাদের জন্য নানা দিকনির্দেশনা দেন। তার সময়ে হওয়া বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আগামীতেও চালু রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২টিরও বেশি সেমিনার, ৮০টিরও অধিক সভা, ২০টির মতো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, ২০টিরও বেশি বিজনেস ডেলিগেশন, প্রায় ৮০টি কার্টেসি মিটিং ও স্যান্ডিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।’ এদিন এফবিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।