দুই ডোজ বা জনসন এন্ড জনসন গ্রহনকারী ভারত ফেরত যাত্রীদের লাগবেনা করোনার নেগেটিভ সনদ
মোঃ জামাল হোসেন, (যশোর):
যে সমস্ত পাসপোর্টযাত্রী ভারত থেকে ফিরে আসছেন ওই সমস্ত যাত্রীদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার দুই ডোজ বা জনসন এন্ড জনসন কোম্পানির একটি টিকার ডোজ দেওয়া থাকলে সে সকল যাত্রীদের আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেভেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়। তবে কিউআর কোডসহ টিকার সনদ সাথে থাকতে হবে।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর সিডিসি এর পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি পত্র আমরা পেয়েছি। যা ১৪ মার্চ থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোন টিকার দুইটি ডোজ বা জনসন এন্ড জনসন এর একটি ডোজ গ্রহনকারী যাত্রী ভারত থেকে ফেরত আসলে তার আরটি পিসিআরের ৭২ ঘন্টার করোনার সনদ প্রয়োজন হবেনা। যারা এ আওতার বাইরে থাকবেন তাদেরকে ৭২ ঘন্টার করোনা টেস্টের সনদ বাধ্যতামূলক।
এদিকে, যে সমস্ত পাসপোর্টধারীযাত্রী ভারতসহ পৃথিবীর যে কোন দেশে গমনের পূর্বে যে দেশে ভ্রমণ করবেন সে দেশের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আরটি-পিসিআর টেস্ট প্রযোজ্য হবে। ওই সমস্ত যাত্রীদের যাদের বুস্টার ডোজ অর্থ্যাৎ তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করা আছে তাদের জন্য করোনা টেস্টের সনদ লাগবেনা।
কিন্তু যে সমস্ত যাত্রীদের শরীরে উপসর্গ থাকবে তাদেরকে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রেখে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে।
এছাড়া ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেভেটিভ কোভিড-১৯ সনদ বাধ্যতামূলক নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা আছে।
বেনাপেল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি যাত্রী যাদের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত করোনার দুইটি টিকার ডোজ বা জনসন এন্ড জনসন এর একটি টিকা দেওয়া আছে।
তাদের লাগবে না ৭২ ঘন্টার আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ সার্টিফিকেট সনদ। যা আজ সোমবার সকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।