ঈদে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রফতানি

ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা নয়দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চলবে।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস নীতিসংক্রান্ত দ্বিতীয় সচিব মুকিতুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঈদের দিন বাদে ছুটির দিনগুলোতেও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিসংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে এ নির্দেশ পালন করা হলেও বেনাপোলসহ অন্যান্য কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনে তা হয় না। এখানে বন্দর ব্যবহারকারীরা সবাই ছুটিতে চলে যাওয়ায় সবকিছু বন্ধ থাকবে।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, এবার ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের তারিখ ধরে এর আগে-পরে ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল চারদিন ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি শুরুর আগে ২৮ মার্চ পড়েছে শুক্রবার। শবেকদরের ছুটিও সেদিনই। ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। সেদিনও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তার পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয়দিনের ছুটি মিলেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, ঈদের ছুটিতেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার। আগের বছরগুলোয় ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার যাত্রী ভারতে গেলেও এ বছর তেমন কোনো চাপ থাকবে না বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে-রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবেন। পাশাপাশি বেনাপোল বন্দর থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’